মানসিক রোগে আক্রান্ত যুবককে...
যুক্তরাজ্য ফেরত মানসিক রোগে আক্রান্ত এক যুবককে নিয়ে উদ্বিগ্ন সময় পার করছেন তার পিতা-মাতা। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জালালাবাদ...
ছবি সংগৃহীত
নগরীতে চা দিতে দেরি হওয়ায় কাস্টমারের ছুরিকাঘাতে খুন হলেন মো. দিনার আহমদ রুমন নামের এক হোটেল কর্মচারী।
খুনের ঘটনায় প্রধান আসামী আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত আব্বাস মিয়ার ছেলেরা পলাতক রয়েছেন।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে নগরীর কাজির বাজার মাছ বাজারের পাশের একটি চায়ের দোকানে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হোটেল কর্মচারী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা জালালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সব্দলপুর গ্রামের মৃত.তখলিছ মিয়ার ছেলে মো. দিনার আহমদ রুমন (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নগরীর কাজিরবাজার তোপখানা এলাকার বাসিন্দা আব্বাস মিয়া সকালে নাস্তা করতে কাজির বাজারে আসেন। তিনি প্রায়ই সকালে কাজিরবাজারে নাস্তা করতে আসেন।
রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে তিনি জব্বার মিয়ার হোটেলে এসে প্রথমে পরটা-ভাজি খান তারপর তিনি রুমনকে ডাক দিয়ে চায়ের অর্ডার দেন। এসময় চা দিতে দেরি হলে রুমনের সাথে আব্বাস মিয়ার বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এসময় দোকানে থাকা লোকজন ও দোকান মালিক মিলে আব্বাস মিয়াকে শান্ত করলেও দোকান কর্মচারী রুমনের বাকবিতান্ডার একপর্যায়ে আব্বাস মিয়া তার ছেলেদের ফোনকল দিয়ে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। ছেলেরা এসে দোকানের কর্মচারী রুমনকে জিজ্ঞাসা করলে রুমন প্রতিউত্তরে তর্কাতর্কি করে। এসময় আব্বাস মিয়ার ছেলেরা রুমনকে মারধর করতে থাকেন এবং ছোট ছেলে রোহান তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় প্রধান আসামী আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে নগরীর কাজিরবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানাপুলিশ।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, এই ঘটনায় পাঁচজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রধান আসামী আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে এবং বাকি আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসএ/সিলেট