বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে...
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, বিএনপির কেন্দ্রীয় ফরেইন অ্যাফেয়ার্স টীমের সদস্য ও সিলেট-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী বলেছেন,...
শহীদ সাংবাদিক তুরাবের স্মরণসভায়
ছবি সংগৃহীত
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী বলেছেন শহীদ সাংবাদিক তুরাব একজন সাহসী, মেধাবী ও পেশাদার সাংবাদিক ছিলেন। তিনি টার্গেট কিলিংয়ের শিকার।
তাই শুধু শহীদ তুরাব নয় জুলাই আন্দোলনে যারাই টর্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়ে শহীদ হয়েছেন সবার বিচারিক প্রক্রিয়ার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে।
তিনি রোববার দুপুরে সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর মিলনায়তনে বিয়ানীবাজার নাগরিক কমিটি আয়োজিত দৈনিক জালালাবাদ ও নয়া দিগন্তের রিপোর্টার শহীদ আবু তাহের মো. তুরাব স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মাওলানা ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং দি বিয়ানীবাজার এডুকেশন সোসাইটির সেক্রেটারী কাজী আবুল কাশেম চৌধুরী ও তানভির এলাহী মজুমদারের যৌথ পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর, ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান।
মাওলানা সাব্বির আহমদ খানের কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন শহীদ সাংবাদিক তুরাবের বড়ো ভাই আবুল আহছান মোঃ আযরফ জাবুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন- বিপ্লবের পর যদি বিপ্লবী সরকার গঠন না হয় তাহলে সেই বিপ্লবের স্বাদ প্রাপ্তি নিয়ে একটি প্রশ্ন থেকে যায়। বর্তমান সরকারে বিপ্লবীদের প্রতিনিধি থাকলেও এটি বিপ্লবী সরকার না হওয়ায় অনেককিছু ধীর গতিতে হচ্ছে। এজন্য সবাইকে ধৈর্য্য এবং ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা রুখতে হবে। সবাই এক থাকলে ফ্যাসিবাদ আবারও ফেরার যে স্বপ্ন দেখছে তা বাস্তবায়িত হবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা হাবিবুর রহমান সিলেট অঞ্চলে বিপ্লবের একমাত্র শহীদ সাংবাদিক তুরাব হত্যার বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতিকে ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে উল্লেখ করেন।
জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর শহীদ তুরাবের স্মৃতিচারণ করে তার পেশাদারিত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তুরাব হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন। এসময় তিনি জুলাই বিপ্লবে আহতের বিনামূল্যে সেবাপ্রদানের জন্য ইবনে সিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন ও তাদের অবদান তুলে ধরেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মোস্তফা মুন্না, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক নয়াদিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রধান আবদুল কাদের তাপাদার, দৈনিক প্রভাতবেলা সম্পাদক কবীর আহমদ সোহেল, সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি নাজমুল কবির পাভেল, বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব সেক্রেটারী তোফায়েল আহমদ ও শিক্ষাবিদ মাওলানা জমির হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল এস এর সিলেট অফিসের প্রধান মইন উদ্দিন মনজু, দৈনিক জালালাবাদের সিনিয়র রিপোর্টার মুনশী ইকবাল, চীফ ফটো সাংবাদিক হুমায়ুন কবির লিটন, সিনিয়র ক্যামেরাপার্সন লিটন চৌধুরী, একাত্তর টিভির ক্যামেরাপার্সন মারজান, মুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আল মামুন, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়েরসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবী।
এরআগে বিভাগীয় কমিশনার বিয়ানীবাজারে শহীদ তুবার চত্বর উদ্বোধন করেন। পরে শহীদ তুরাবের কবর জিয়ারত করেন এবং বাড়িতে গিয়ে শহীদের মায়ের সাথে সাক্ষাত করে কুশল বিনিময় করেন। এসময় তিনি শহীদ তুরাবের মায়ের হাতে ২৫ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড তুলে দেন।
এসএ/সিলেট