বৃষ্টি থাকবে আরো এক সপ্তাহ,...
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ সারাদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এই বৃষ্টি আরও এক...
ছবি সংগৃহীত
দৈনিক ৭০০ টাকা মজুরির করাতকল শ্রমিক নজির আহমেদ (৪০) দুর্ঘটনায় হাত হারালেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় ফিরে পেয়েছেন সেই হাত। ট্রাক থেকে গাছের গুঁড়ি নামানোর সময় কবজি থেকে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার। পরে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারে সেই হাত নতুন করে জুড়ে দেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আদমসার গ্রামে দুর্ঘটনার শিকার হন নজির আহমেদ। সহকর্মীরা বিচ্ছিন্ন হাতটি পলিথিনে ভরে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রথমে তাকে কুমিল্লার ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারে।
সেখানেই রাতে প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞদের একটি দল জটিল অস্ত্রোপচারে হাত পুনঃসংযোজন করেন। দলের নেতৃত্ব দেন কুমিল্লার ময়নামতি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসক আরিফুর রহমান, রহমত উল্লাহ ও এনামুল হক।
ডা. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের অস্ত্রোপচারে সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগী দ্রুত আসায় আমরা হাতটি জোড়া লাগাতে পেরেছি। এটি শুধু কুমিল্লার জন্য নয়, বাংলাদেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্যও একটি বড় সাফল্য।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নজির আহমেদ এখন শারীরিকভাবে স্থিতিশীল আছেন। তার জোড়া লাগানো হাতে স্পর্শ করলে তিনি অনুভব পাচ্ছেন।
আহত নজির আহমেদ জানান, ‘গাছের খাড়িডা ট্রাক থেকে পড়ে আমার হাতে চাপ দিলে হাতটা আলাদা হয়ে যায়। সহকর্মীরা হাতটা পলিথিনে ভরে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
দিনমজুর নজির তিন সন্তানের বাবা। দুর্ঘটনার পর চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়লেও কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল হক বলেন, ‘রোগী অর্থের দুশ্চিন্তায় ছিলেন। আমরা তাকে আশ্বস্ত করেছি—আগে চিকিৎসা, পরে খরচের ব্যবস্থা দেখা হবে। অস্ত্রোপচার সফল হওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এসএ/সিলেট