নবীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় আরেকজনের...
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে ভয়াবহ সংঘর্ষের ৬দিন পর আহত রিমন মিয়া (৩০) নামে আরেকজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। তিনি আনমনু গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়ালের...
ছবি সংগৃহীত
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে ভয়াবহ সংঘর্ষের ৬দিন পর আহত রিমন মিয়া (৩০) নামে আরেকজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। তিনি আনমনু গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
শনিবার দিবাগত রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে এই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের অ্যাম্বুলেন্স চালক ফারুক মিয়া (৪০) নিহত হন। এনিয়ে এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, অ্যাম্বুলেন্স চালক ফারুক মিয়া (৪০) হত্যায় মামলা দায়ের করা হয়। সাংবাদিকসহ প্রায় ১৩৫ জনের নাম এজাহারে দিয়ে অজ্ঞাত ২-৩ হাজার আসামি উল্লেখ করে নিহতের স্ত্রী সালমা খাতুন শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হল, সাংবাদিক আশাহিদ আলী আশা, অলিউর রহমান অলি, মো. আলমগীর মিয়া, বাদল আহমেদ, এটিএম সালাম, নাবেদ মিয়া, সফিকুল ইসলাম নাহিদ, আনোয়ার হোসেন মিঠু, আলাল মিয়া।
প্রসঙ্গত- গত ৩ জুলাই বিকেলে নবীগঞ্জ শহরে তুচ্চ বিষয় নিয়ে পূর্র্ব তিমিরপুর গ্রামের খসরু মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হয় সাংবাদিক আশাহীদ আলী আশার।
পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে আনমনু ও পূর্ব তিমির গ্রামবাসীর মধ্যে। এর জের ধরে ওই দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও কয়েকটি দোকানে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
গত সোমবার (৭ জুলাই) সকালে আনমনু ও পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের লোকজন পুর্ব ঘোষনা দিয়ে নিজ নিজ এলাকায় পুর্ব প্রস্তুতিমুলক মিটিং করেন। বিকাল ৩টায় মাইকে ঘোষনা দিয়ে উভয় গ্রামের শত শত মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংঘর্ষে শতাধিক দোকান পাট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহত হয় শতাধিক লোকজন, যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন- রিমন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসএ/সিলেট