বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ...
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন শুল্ক আরোপের তালিকায়...
ছবি সংগৃহীত
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ জানিয়েছেন, গাজার পুরো জনগণকে দক্ষিণের রাফাহ শহরের ধ্বংসস্তূপের উপর তৈরি এক ‘মানবিক শহর’-এ স্থানান্তরের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ইসরাইলি গণমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়।
বুধবার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
কাটজ জানান, প্রথম পর্যায়ে আল-মাওয়াসি এলাকা থেকে বিতাড়িত প্রায় ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে ওই শিবিরে রাখা হবে এবং পরবর্তী সময়ে গাজার ২১ লাখ জনগণকেই সেখানে স্থানান্তর করা হবে।
প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে কাটজ বলেন, শিবিরে প্রবেশের আগে প্রতিটি ফিলিস্তিনিকে স্ক্যানের মধ্য দিয়ে যেতে হবে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তারা হামাসের সদস্য নয়। শিবিরে প্রবেশের পর তাদের বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং গাজার পুরো জনগণকে ওই অঞ্চলে আটকে রাখা হবে।
তিনি আরও জানান, গাজাবাসীদের অন্য দেশে অভিবাসনের যে পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন, তা বাস্তবায়নের জন্যও তিনি প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিবাসন পরিকল্পনায় সমর্থন জানিয়ে সোমবার হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজের সময় বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি, এমন দেশগুলো খুঁজে বের করতে যারা ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’ দিতে চায়, এবং আমরা কয়েকটি দেশের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেতে যাচ্ছি।
কাটজ জানান, পরিস্থিতি অনুকূল হলে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, তার সময়কালেই শিবির নির্মাণের কাজ শুরু হতে পারে।
তবে জাতিসংঘ এর আগেই সতর্ক করে বলেছে, কোনো দখলীকৃত ভূখণ্ডের নাগরিকদের জোরপূর্বক স্থানান্তর বা বহিষ্কার আন্তর্জাতিক আইনে অনুমোদিত নয়। এ বিষয়ে এখনো ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা হামাস কোনো মন্তব্য দেয়নি।
এসএ/সিলেট