ওসির বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ

দক্ষিণ সুরমায় জুলাই যোদ্ধার পরিবারকে হত্যার হুমকি আওয়ামী লীগ নেতার

post-title

ছবি সংগৃহীত

দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাওঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জবরুল ইসলাম জগলুর বিরুদ্ধে জুলাই যোদ্ধা পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চোখ হারানো মারুফ আহমেদের পিতা আলমগীর মিয়া শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার ছেলে জীবনবাজি রেখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়। তার একটি চোখ স্থায়ীভাবে হারিয়ে এখনও রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তার গেজেট নাম্বার-৪৬৯, মেডিকেল কেস আইডি-২৬৪৬৬। ছেলে মারুফের ঘটনায় তাদের পুরো পরিবার এলোমেলো হয়ে গেছে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জবরুল ইসলাম (জগলু) প্রকাশ্যে তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। যার কারণে চরম উৎকণ্ঠায় সময় কাটছে তাদের।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একজন জুলাই যোদ্ধার বাবা হিসেবে গর্ববোধ করেন। তার ছেলে ছাত্র আন্দোলন সংশ্লিষ্ট একাধিক মামলার সাক্ষী হিসেবে তালিকাভূক্ত। আর এটাই তাদের অপরাধ। এ কারণে জগলু তাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। জগলুর বিরুদ্ধে আগস্টের আগেও শিশু হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা ছিল। আওয়ামী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে অনেক মামলা থেকে জগলু অব্যাহতি পেলেও শিশু হত্যার মামলাটি এখনো চলমান। 

আলমগীর মিয়া বলেন, গত ২ জুলাই জগলু তার দলবল নিয়ে প্রকাশ্যে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই ঘটনার পরদিন ৩ জুলাই তিনি দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ সময় দক্ষিণ সুরমা থানার ওসির সাথে দেখা করে একজন জুলাই যোদ্ধার পিতা পরিচয় দিলেও ওসি কোন গুরুত্ব দেননি বলে জানান। জগলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া সত্ত্বেও ওসি রহস্যজনক ভূমিকায় ন্যায় বিচার নিয়ে তিনি চিন্তিত।

এই জগলু অতীতে ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আটটি মামলা রয়েছে। জগলু এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। তিনি তার পরিবারের নিরাপত্তা ও জবরুল ইসলাম জগলুকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


এসএ/সিলেট