রথযাত্রা উৎসব শেষে সিলেটে ইসকনের...
সনাতন ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শেষে, ভক্তি, সৌহার্দ্য ও স্মৃতিচারণের আবহে ইসকন সিলেট আয়োজন করে এক আন্তরিক পুনর্মিলনী...
ছবি সংগৃহীত
কোম্পানীগঞ্জের পাড়ুয়া এলাকায় সকল অপরাধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন স্থানীয় লোকজন। এতে করে অপরাধের সাথে জড়িত কয়েকটি পরিবার এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।
এই মিথ্যাচারের নিন্দা জানিয়ে ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন এলাকাবাসী। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আফজাল হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন পাড়ুয়াবাসী। এলাকার জনগণের জান মালের নিরাপত্তায় প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ক্ষুদ্ধ অভিযুক্তরা বলছে বিএনপি নেতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ অসত্য ও কাল্পনিক বক্তব্য।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত আলী বাবুলকে জড়িয়ে গত ২৯ জুন সংবাদ সম্মেলন করে মনগড়া ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন করেছে পাড়ুয়া লামাপাড়া গ্রামের কাজল মিয়ার পুত্র রোকসান মিয়া ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শওকত আলী বাবুল একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোক। তার পিতা হাজী সিকান্দর আলী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি। তার দাদা মরহুম আরফান আলী পাকিস্তান আমলে বৃহত্তর ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার দুই ভাই আমেরিকা প্রবাসী। তার মতো স্বচ্ছ রাজনীতিবদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার সম্পূর্ণ বেমানান। রোকসান যে হারুন মিয়াকে ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি উল্লেখ করেছেন এই হারুন মিয়ার বাড়ি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। বিএনপি’র কোন কমিটিতে বা বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছে বলেও জানা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, হারুন রশিদ ও তার ভাই সামসু মিয়া ‘ওরফে জল্লাদ কুখ্যাত ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী’ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। ছোটবেলা থেকেই তারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাÐের সাথে জড়িত । শামসু মিয়া ওরফে জল্লাদের ছেলে আইয়ুব মিয়া, হারুন মিয়ার ছেলে আকাশ মিয়া, রুবেল মিয়া, রুহুল মিয়া, রাসেল মিয়া, কাজল মিয়ার ছেলে রোকসান মিয়া, লালু মিয়া, সুনাই মিয়াসহ কয়েকটি পরিবারের সদস্য এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে । তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালতে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন প্রমাণাদি রয়েছে। আফজাল হোসেন জানান, রোকসান মিয়া প্রায় ২ মাস আগে পাড়ুয়া বাজারে মাঝপাড়া গ্রামের আল আমিনের মোটরসাইকেল ছিনতাই করে। যার নেতৃত্বে আছেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার ছেলে ও নিকটাত্মীয়রাও এলাকায় চুরি, ডাকাতির সাথে জড়িত। ২০২১ সালে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরসহ অভিযোগ দায়ের হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
গত ৫ আগস্টের পরে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরের মালামাল লুটের সাথে তারাই জড়িত। তাদের বেআইনি কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী গত ২৩ জুন গণস্বাক্ষরসহ একটি অভিযোগ প্রশাসনের কাছে দিলেও প্রশাসন থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এছাড়া, গত ১৮ জুন রাতে হারুন মিয়া ও রোকসানের নেতৃত্বে পাড়ুয়া বাজারের ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়ার ছেলে হারুন মিয়ার দোকানে চুরি করার সময় অভিযুক্তরা অতর্কিত ভাবে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা করে ও তার একটি চোখ উপড়ে দেয়। চোখ হারানো ওই ব্যবসায়ী ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে এই অপরাধীদের দ্রæত গ্রেপ্তার করে এলাকাবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের সুযোগ দিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. আনু মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল মালিক, সামছুদ্দিন, ইলিয়াছ আলী, শফিক মিয়া, মিজানুর রহমান, আল আমিন, হাবিব মিয়া, বিলাল হোসেন, মো. শফাত উল্লাহ, সুফি মিয়া, নাজমুল হোসেন শাওন, মো. জিলানী প্রমুখ।
এসএ/সিলেট