মৌলভীবাজারের শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক...
মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন কুলাউড়া উপজেলার করের গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হালেমা আক্তার। বিশ্ব শিক্ষক...
ছবি সংগৃহিত
চা'এর শহর শ্রীমঙ্গল—যাকে চায়ের রাজধানীও বলা হয়। সবুজের সমারোহে ঘেরা এ উপজেলা শুধু চা নয়--লেবু, আনারস, রাবারসহ নানা কৃষিজাত ফসলের জন্যও বিখ্যাত। এখানকার প্রধান দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে চা-কন্যা ভাস্কর্য, বিস্তীর্ণ চা বাগান, লাল পাহাড়, মনোরম লেক, ঐতিহাসিক ডিনস্টন সিমেট্রি, গলফ মাঠ, জীববৈচিত্র্যে ভরপুর বাইক্কা বিল এবং নৃ-গোষ্ঠির পল্লি।
খাসিয়া ও মনিপুরিদের ভিন্ন সংস্কৃতি ও জীবনধারা এবং নৃ-গোষ্ঠির পল্লি ও খাসিয়া-মনিপুরিদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য প্রতিদিন শত শত ভ্রমণপিপাসু শ্রীমঙ্গলে ছুটে আসেন। তবে সম্প্রতি এই শহরে যোগ হয়েছে নতুন এক আকর্ষণ—আলপনায় সাজানো সড়ক।
এখানে রয়েছে উন্নতমানের হোটেল, রিসোর্ট ও রাধানগর রিসোর্ট পল্লী। থাকার-খাওয়ার কোনো অসুবিধা নেই। সারাদেশের সাথে সড়ক ও রেল যোগাযোগও সুবিধাজনক হওয়ায় পর্যটকরা সহজেই পৌঁছে যান শ্রীমঙ্গলে।
সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) পয়েন্ট থেকে বিটিআরআই ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি আলপনা আঁকিয়ে সাজানো হয়েছে। নকশায় ভরা সড়কটি দেখতে যেন এক শিল্পকর্ম। আঁকাবাঁকা পথের দুই ধারে সবুজ চা বাগান, আর মাঝ দিয়ে রঙিন আলপনা—দর্শনার্থীদের চোখে পড়ে এক ভিন্ন স্বাদ।
রঙিন নকশা আর নান্দনিক সৌন্দর্যে সজ্জিত হওয়া মাত্রই এ সড়কটি মুহূর্তেই আলোচনায় চলে আসে। এই আলপনা আঁকা পথের ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এখন প্রতিদিনই ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী।
প্রতিদিন বিকেলে এখানে দর্শনার্থীদদের ভিড় জমে। তবে শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিনে সড়কটিতে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়—আলপনা আঁকা সড়কটিতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শুধু মানুষই নয়, সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক, মোটরবাইক, প্রাইভেট কার ও হাইয়েস মাইক্রোবাসে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
ট্যুরিস্ট পুলিশ ভিড় সামলাতে ব্যস্ত, তবু মানুষের আনন্দ-উচ্ছ্বাস থেমে নেই। রঙিন আলপনার পথে হাঁটতে হাঁটতে অনেকে ছবি তুলছেন, কেউবা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এই সড়কজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
স্থানীয়রা জানান, শ্রীমঙ্গলের এই আলপনা আঁকা সড়ক শিগগিরই নতুন একটি পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে জায়গা করে নেবে। এতে শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে বলে তারা আশা করছেন।
এসএ/সিলেট