ইউনাইটেডের মাঠের খেলায় দৈন্যদশা, আয়ের...
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নাম শুনলেই মনের কোণে ভেসে ওঠে দাপুটে এক দলের চেহারা, যারা সব বাধা অতিক্রম করে একেরপর এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ছে। যদিও সেটা এখন অতীত। বর্তমানে...
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা সাবেক বিজিবি সদস্য নিজাম উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিলেট ওয়েসিস হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামে। তবে পরিবার নিয়ে বাস করতেন একই ইউনিয়নের রুকনপুর গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা সাবেক বিজিবি সদস্য নিজাম উদ্দিন চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। নিয়মিত তার চিকিৎসাও চলছিল। শারীরিকভাবে অনেকটাই সুস্থও ছিলেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে তিনি হঠাৎ কিছুটা অসুস্থবোধ করেন।
এ সময় তাকে সিলেটে হাসপাতালে নিয়ে রওয়ানা দেন এবাদত হোসেন চৌধুরী। কিন্তু পথেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে সিলেট ওয়েসিস হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এবাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, বাবা দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসাও চলছিল। সম্প্রতি তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়। চিকিৎসকরাও বলেছিলেন, বাবার শারীরিক অবস্থাও ভালো।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে আমি নিজেই তাকে নিয়ে সিলেটে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ পথেই বাবা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন, তা কখনও কল্পনা করিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর পরিবারে স্ত্রী ও ছয় ছেলে-মেয়ে রয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১১টায় কাঁঠালতলী ঈদগাহ প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এসএ/সিলেট