মৌলভীবাজারের শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক হালেমা আক্তার

post-title

ছবি সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন কুলাউড়া উপজেলার করের গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হালেমা আক্তার। বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২৫ উদযাপন ও গুণী শিক্ষক নির্বাচন উপলক্ষে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

দীর্ঘদিনের নিষ্ঠা, শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা, সৃজনশীল উদ্যোগ, বিদ্যালয় পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক সব মিলিয়েই অর্জন করেছেন এ স্বীকৃতি। সহকারী শিক্ষক হালেমা আক্তার এ অর্জনে উচ্ছ্বসিত।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর জেলার গুণী শিক্ষক বাছাই কমিটির আয়োজিত প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে হালেমা আক্তার “গুণী সহকারী শিক্ষক” নির্বাচিত হন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সফিউল আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এক প্রতিক্রিয়ায় শ্রেষ্ঠ গুণী সহকারী শিক্ষক হালেমা আক্তার বলেন, শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে মনে হচ্ছে আমার পরিশ্রম সফল হয়েছে। এই অর্জন আমার নিজের নয়, আমার শিক্ষার্থীদেরও। তাঁদের প্রতিদিনের হাসি আর স্বপ্নই আমাকে নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করে।’ তিনি আরো বলেন, উপজেলা পর্যায়ের পর জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী সহকারী শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। এই অর্জন আমাকে আগামী দিনে এই ধরনের কার্যক্রমে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করবে। আমি যেন এভাবেই কাজ করে যেতে পারি সেজন্য সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।

উল্লেখ্য, শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক হালেমা আক্তার সিলেট এমসি কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ম বিভাগে এসএসসি, ২০০১ সালে কুলাউড়া সরকারি কলেজ থেকে ১ম বিভাগে এইচএসসি পাশ করেন।

২০০৪ সালে কুলাউড়া সরকারি কলেজ থেকে ১ম বিভাগে সর্বোচ্চ ৭৯৯ মার্ক পেয়ে স্নাতক পাশ করেন। পরে ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর কৃতি শিক্ষার্থী হিসেবে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিন আহমদ ও স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারের সাথে তিনি সাক্ষাৎ করেন। চাকুরী জীবনে তিনি প্রথমে ২০০৬ সালে কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের নলডরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

এরপর ২০০৯ সালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের করেরগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। দুই মেয়ের জননী হালেমা আক্তার কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বনগাঁও-২ এলাকার মৃত মো. আশাদ আলীর মেয়ে ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. তৈমুল ইসলামের স্ত্রী।

এসএ/সিলেট