কুলাউড়া থেকে বিপুল পরিমাণ জাল...
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে বিপুল পরিমাণ জাল নোট, ৫টি নকল বিদেশী পিস্তল এবং নকল গুলিসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। আটক মোক্তাদির আলী ওরফে রিপন...
মাঠ রক্ষায় একাট্টা এলাকাবাসী
ছবি সংগৃহিত
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা কর্মধা ইউনিয়নে শতবর্ষী রাঙ্গিছড়া খেলার মাঠ রক্ষায় একাট্টা হয়েছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে মাঠ রক্ষার দাবিতে স্থানীয় এলাকার পক্ষে সমাজসেবক জুনেদ আহমদ একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
ওই অভিযোগে কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল মালিক, সহ-কোষাধ্যক্ষ উমেদ মিয়া, রাঙ্গিছড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লিটন মিয়া, সহ-সভাপতি কামাল আহমদ, মায়া মিয়া, রাঙ্গিছড়া ফুটবল ক্লাবের সভাপতি শেখ রুহেল আহমদ, ব্যবসায়ী লোবান মিয়া, রুবেল আহমদ, সদর ইউনিয়ন যুবদল নেতা আহাদ মিয়া, রাঙ্গিছড়া বাগানের বাসিন্দা রাজু নাইডুসহ প্রায় ৪০ জন লোক স্বাক্ষর করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার কর্মধা ও সদর ইউনিয়নের ক্রীড়ামোদী, রাঙ্গিছড়া বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, কালিটি ও রাঙ্গিছড়া চা বাগান, পানপুঞ্জির লোকজন রাঙ্গিছড়া খেলার মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা করেন। ওই খেলার মাঠের উত্তরপাশ থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়া খেলার মাঠের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দেওছড়া থেকে দীর্ঘদিন থেকে একটি বিশেষ মহল অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত এলাইছ মিয়ার ছেলে মো. রাহেল মিয়া এই কাজের সাথে জড়িত। রাহেল মিয়া কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়কের দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী আরো বলেন, খেলার মাঠের পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে টানানো রয়েছে এখানে বালু বিক্রয় করা হয় সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড। সেই সাইনবোর্ডে যে নাম্বার দেয়া হয়েছে সেটি রাহেল মিয়ার বলে নিশ্চিত করেন এলাকার লোকজন। স্থানীয় দেওছড়া থেকে রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হয়। এসব বিষয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে মো. রাহেল মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। যারা এ কাজের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক এটা আমিও চাই। দেওছড়া থেকে বিগত সময়ে কে বা কারা বালু উত্তোলন করেছেন সেটি এলাকার অনেকেই জানেন।
স্থানীয় একটি মহলের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব মনগড়া অভিযোগ তুলা হচ্ছে। এমনকি বিগত সময়ে খেলার মাঠ ধ্বংস করার জন্য একটি পক্ষ নানা ষড়যন্ত্র করেছে। ওই সময় খেলার মাঠ রক্ষার জন্য আমি সোচ্চার ছিলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসএ/সিলেট