মাইলস্টোন ট্রাজেডি: বাঁচানো গেল না জারিফকেও, মৃত্যু বেড়ে ৩৪

post-title

ছবি সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির নাম জারিফ ফারহান (১৪)।

শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিল সে। শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যায় জারিফ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৩২ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৫১ জন। পরে শুক্রবার বিকেলে মাকিন (১৩) নামে আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। আজ সকালে জারিফের মৃত্যু মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু ঘটলো। 

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২০ শিক্ষার্থী, ২ জন শিক্ষক ও ২ জন অভিভাবক নিহতের তথ্য জানায়।

সোমবার দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনায় দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বিমান বিধ্বস্ত ও প্রাণহানির ঘটনায় পরদিন মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাাখা হয়। পাশাপাশি সকল সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ছিল।

এছাড়া আহত-নিহতদের জন্য দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনারও আয়োজন করা হয়। 

এদিকে বিমান বিধ্বস্ত ও প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে ভারত, পাকিস্তান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জাপান ও সুইজারল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। সোমবার সন্ধ্যায় সামজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স ও ফেসবুকে দেওয়া শোকবার্তায় দেশগুলো এই শোক জানায়।

এসএ/সিলেট