আগামী ৫ বছরের মধ্যে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে কোন বেকার যুবক থাকবে না: সেলিম উদ্দিন

post-title

ছবি সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর (উত্তর)'র আমীর ও সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, “এদেশে আর গলাবাজি, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজির রাজনীতি হবে না। ভারতের দালাল আওয়ামী লীগ ১৭ বছর শুধু জনগনকে শোসন করেছে। বড় বড় কথা বলেছে।

দিল্লির বয়ান এদেশের মানুষ পছন্দ করে না। তাদের কোন তাবেদারি আর এদেশে চলবে না। দেশে উন্নয়নের নামে হরিলুট হয়েছে। মন্ত্রী-এমপিরা টাকার পাহাড় বানিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে। দেশের মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে মন্ত্র, এমপি এমনকি পাতি নেতারাও এূেশে থাকতে পারেনি। তারা বারতে পালিয়ে গেছে। এখন কেউ জাহেলির রাজনীতি কেউ করার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।”

তিনি বলেন, “জুলাই গনঅভ্যুত্থানেে ফ্যাসিস্ট পালিয়ে যাওয়ার পর কিছু দলের আচরণ সন্দেহজনক। মানুসের সাথে তামাশায় লিপ্ত হয়েছে। কিন্ত  এদেশের মানুষ সব বুঝে। তাদেরকে বোকা বানিয়ে বৈতরী পার হওয়া যাবে না। আগামী নির্বাচনে চাদাবাজি টেন্ডারাজদের মানুষ ভোট দেবেনা। জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শ্বাসন চায় বলে এদেশের মানুষের মনির মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ট ভোট পেয়ে সরকার গঠন করবে ইনশাহ আল্লাহ। যাদের গনতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস নেই তারা ভোট চুরি করার ছিন্তা করে। ভোটকেন্দ্র কেউ ব্যালট ছিনতাই কিংবা জালভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে ঘেরাও করে রাখা হবে। অবিচারকে উৎখাত করে ন্যায় বিচার কায়েম করা হবে। মানুষ জুলুম নির্যাতন শিকার হবেনা। সবাই শান্তিতে বসবাস করবে।”

এজন্য গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারবাসীকে দাড়ি পাল্লায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান তিনি। আমরা মানুসের আইনের প্রতি নয়, আল্লাহর আইনের প্রতি বিশ্বাসী। গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের কোন বেকার থাকবেনা। সবাইকে আগামী ৫ বছরের মধ্যে  কাজে লাগাবো। মাইকে ঘোষণা দিয়েও কোন বেকার যুবক পাওয়া যাবেনা।

তিনি শুক্রবার গোলাপগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর যুব দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। দলের পৌর যুব বিভাগ এই দায়িত্বশীল সমাবেশের আয়োজন করে।

পৌরসভার অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব পৌর যুব বিভাগের সভাপতি সুহেল আহমদ। সেক্রেটারি রিমন আহমদের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজ নজমুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন পৌর জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর রেহান উদ্দিনে রায়হান, পৌর জমায়াতের সেরেটারী সেলিম উদ্দিন, কাজী শহিদ আহমদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাফেজ নজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে  রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বাকস্বাধীনতা হরন করা হয়েছিল। জুলুম-নির্যাতন করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।কিন্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জুলুম নির্যাতন করে এদেশে ঠিকে থাকতে পারেনি। তারা পালিয়ে ভারতে চলে গেছে। আমরা চাদাবাজ, ছিনতাইকারী, দখলবাজদের  প্রতিহত করা হবে।’ তিনি নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র প্রহরা দেওয়ার আহবান জানান।

এসএ/সিলেট