বিয়ানীবাজার পৌর শহরে ডাকাতি, অর্ধকোটি...
সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার নিদনপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আবুল মিয়ার বাড়িতে ডাকাতদল হানা দেয়। এসময় ডাকাতদল নগদ...
ছবি সংগৃহীত
সিলেটের কানাইঘাটে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ১৮ বছরের এক তরুণীকে নোহা গাড়ীতে উঠিয়ে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণকারী ৩ জনকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ের মাতা কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের কচুপাড়া গ্রামের নুর জাহান বাদী হয়ে থানায় ৭/৯(৩) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২৫) আইনে ধর্ষণকারী ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, সদর ইউনিয়নের উমাগড় গ্রামের মৃত নিখিল দাসের পুত্র নোহা চালক শুভংকর দাস, বীরদল কচুপাড়া গ্রামের ফরিদ আহমদের পুত্র ক্যারিকাভ চালক বাবুল আহমদ ও চটিগ্রাম গ্রামের বাবুল মিয়ার পুত্র পিকআপ চালক ফাহাদ মিয়া। থানার মামলা নং- ০১, তারিখ- ০৪/০৭/২০২৫ইং।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের স্বীকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণী মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো তার মায়ের সাথে বসত ঘরে ঘুমিয়েছিল।
রাত ১টার দিকে তার মা নুর জাহান ঘুম জেগে উঠে দেখতে পান পাশে তার মেয়ে নেই এবং ঘরের দরজা খোলা। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে রাতে প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে পাননি।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামের বালুচরে স্থানীয়রা তাকে জামা কাপড় ছেঁড়া শারীরিক অবস্থায় পেয়ে তার পরিবারকে খবর দেন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় ৩ জন লোক তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে স্থানীয় কয়েকজন লোকজন জানান, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে বীরদল খালোমোরা থেকে নোহা গাড়ী চালক শুভংকর দাস, ক্যারিকাভ চালক বাবুল আহমদ ও পিকআপ গাড়ী চালক ফাহাদ মিয়া প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে শুভংকরের নোহা গাড়ীতে উঠিয়ে নিয়ে যেতে দেখেন। ঘটনাটি জানানির পর বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের লোকজন ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী তরুণীকে নিয়ে কানাইঘাট থানায় আসলে পুলিশ ভিকটিমকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেন। ঐদিন রাতে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়ালের দিক নির্দেশনায় থানার এস.আই খোকন চন্দ্র সরকার, এস.আই শাহ আলম, এস.আই শৈলেশ চন্দ্র দাস, এএসআই আরেফিনের নেতৃত্বে পুলিশের দু’টি টিম সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ষাড়াসী অভিযান চালিয়ে ধর্ষণকারী ৩ জনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সকালে গ্রেফতারকৃত ৩ জনকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
ভিকটিমের মা নুর জাহান জানান, তার মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় মাঝে মধ্যে সে কাউকে কিছু না বলে ঘর বের হয়ে যেতো। পরে তাকে আশপাশে খোঁজাখুজি করে বাড়িতে নিয়ে আসতাম। মঙ্গলবার রাতে মেয়েকে তার শাড়ীর আঁচলে বেঁধে প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়েছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানান, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বাড়ির অদূরে বীরদল খালোমোরা নামক স্থানে রাস্তার পাশে একা পেয়ে গ্রেফতারকৃত ৩ জন নোহা গাড়ীতে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের পর ভিকটিমের জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আদালতে নেয়া হয়েছে।
এসএ/সিলেট