হবিগঞ্জে ডাকাতি ও হত্যা মামলায়...
হবিগঞ্জে ডাকাতি ও হত্যা মামলার এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। ডাকাতি করে ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে খুন করে ডাকাতদল। এ মামলায় দীর্ঘদিন সে...
ছবি সংগৃহীত
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কালনী গ্রামে চাঞ্চল্যকর সৌদি প্রবাসী দিপু মিয়া হত্যা মামলায় ৩৭ জন আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. দোলোয়ার হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এ নিয়ে এই মামলায় ৬০ জন আসামীর মধ্যে ৪৩ জন কারাগারে গেল। এর আগে একই মামলায় জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬ আসামিকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব।
জানা যায়- ওই গ্রামের পঞ্চায়েত সর্দার কাজী ফরিদ মিয়ার সাথে একই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমান সাস্তু মিয়ার দীর্ঘদিন যাবত গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরইজের ধরে গত ২২ জানুয়ারি বিকেলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
এরমধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সৌদি ফেরত প্রবাসি দিপু মিয়াকে উদ্ধার করে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে এ ঘটনায় নিহতের ভাই কাজী সজলু মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট এমএ মজিদ বলেন- প্রবাসি দিপু মিয়া হত্যাকান্ড একটি নৃশংস হত্যাকান্ড। তাকে ৩০ থেকে ৩৫টি আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
এই মামলায় আরো আসামী পলাতক রয়েছে। তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন- দিপু হত্যা মালায় আজ ৩৭ জন আদালতে হাজির হয়েছিল। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, সকাল ১০টায় দিপু মিয়া হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে আদালত চত্বরে মানববন্ধন করেছে তার স্বজনরা। এসময় তারা নির্মম এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এসএ/সিলেট