রোটারি ক্লাব অব সিলেট সেন্ট্রালের উদ্যোগে চক্ষু সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন

একজন দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তিকে আলো দেখাতে পারলে প্রকৃত সেবা হবে: মো. সারওয়ার আলম

post-title

ছবি সংগৃহিত

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেছেন, সেবা দেওয়াটা হচ্ছে মহৎ কাজ, সেবা দেওয়ার মানষিকতা সবার থাকে না, এটা সবার ভাগ্যেও হয়না। অনেকেই দেশে-বিদেশে টাকা উপার্জন করছেন এবং আল্লাহ তায়ালা সম্পদ দিয়েছেন। কিন্তু দান করা ও সেবা এটা কিন্তু অনেকেই করতে পারেন না, এটা করতেও ভাগ্য লাগে।

এই দেশের অনেককেই আমি চিনি, তাদের টাকা সম্পদ আছে, কিন্তু তারা একটি স্কুল, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, মসজিদ ও কলেজ করে নাই। এই সম্পদ মরে যাওয়ার সময় পড়ে থাকবে। আপনি যদি কোন মানুষের জন্য গুরুত্ব হয়ে উঠতে না পারেন তাহলে আপনার জীবনটা ব্যর্থ। আপনার উছিলায় সমাজের ২০ জন মানুষ যদি ভালো ও সুস্থ থাকে এবং স্বপ্ন দেখে তখনই আমাদের জন্ম নেওয়াটা স্বার্থক হয়ে উঠবে। একজন মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে ও তাদের উপকার করতে পেরেছেন এবং উপকার করতে না পারলেও তাদের ক্ষতি করেননি- এ ধরনের মানুষ আমাদের সমাজে অভাব। সেই জায়গায় আপনারা এগিয়ে এসেছেন। আপনাদের সুভাগ্য হয়েছে। তিনি এই মহতি উদ্যোগ নেওয়ায় রোটারি ক্লাব অব সিলেট সেন্ট্রানের সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

তিনি আরোও বলেন, রোটারির মাধ্যমে কল্যাণমূলক কাজের সাথে আপনারা যুক্ত আছেন। এই কল্যাণমূলক কাজের সাথে অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত হচ্ছে- এই কল্যাণমূলক কাজের সাথে থাকার কারণে আপনার মন-মানষিকতা খারাপ হবে না। কারণ আপনি ভালো কাজের সাথে আছেন। আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ্য থাকবেন। যারা চোখে দেখতেন না, তাদেরকে আপনারা অপারেশন করিয়েছেন। তারা যখন চোখে দেখবে তখন তাদের মন আপনাদেরকে দোয়া দেবে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলেমিশে যদি কাজ করি তাহলে এই দেশ এগিয়ে যাবে। আমার চোখে আলো আছে, আর অন্যজনের চোখে আলো নেই। একজন দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তিকে যদি আমরা আলো দেখাতে পারি তাহলেই আমাদের প্রকৃত সেবা হবে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে শহরতলীর মেজোরটিলাস্থ জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালে চার্চ এবং অসওয়াল্ডটুইস্টল রোটারি ইউ.কে. ও সিলেটের প্রথম রোটারি ক্লাব রোটারি ক্লাব অফ সিলেট সেন্ট্রাল (রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, ডি-৬৫ বাংলাদেশ) এর যৌথ উদ্যোগে এবং জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালের সহযোগিতায় চক্ষু সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

ক্লাব প্রেসিডেন্ট রোটাঃ আমিরুল ইসলাম সুমন আরএফএসএম এর সভাপতিত্বে ও রোটাঃ পিপি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান পিএইচএফ (এসিস্ট্যান্ট কান্ট্রি কোর্ডিনেটর, রিপসা) এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সেক্রেটারি রোটা. শিশির রঞ্জন সরকার আরএফএসএম, রিপসা টিমের কোর্ডিনেটর (অর্থ) রোটা. পিপি মো. কবির উদ্দিন, স্পেসিয়েল এইড রোটা. পিপি জাকির আহমেদ চৌধুরী, কোর্ডিনেটর(অর্থ) রোটা. পিপি বিকাশ কান্তি দাস পিএইচএফ, এসিস্ট্যান্ট কো-কোর্ডিনেটর রোটা. আইপিপি আব্দুর রহমান আরএফএসএম, প্রজেক্ট বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজক রোটা. পিপি এম এ রহিম আরএফএসএম, প্রজেক্টের অর্থ যোগানদাতা রোটা. পিপি মো. নজরুল ইসলাম পিএইচএফ সহ ক্লাবের রোটা. পিপি এড. মো. বদরুল ইসলাম আরএফএসএম, রোটা. পিপি মো. তৈয়বুর রহমান আরএফএসএম, রোটা. পিপি জিয়াউল হক এমপিএইচএফ, রোটা. পিপি ইঞ্জি. মো. রুহুল আলম খান পিএইচএফ, রোটা. পিপি ড. এম শহিদুল ইসলাম এড. পিএইচএফ, রোটা. পিপি মো. মোজাক্কির হুসেন চৌধুরী (আরসি জালালাবাদ), রোটা. আহমেদ রশীদ চৌধুরী আরএফএসএম, রোটা. মনসুর আহমেদ পিএইচএফ প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং চক্ষু সেবা গ্রহিতা উপস্থিত ছিলেন।

এসএ/সিলেট