শাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে...
‘আমাদের প্রক্টর ডিবি হারুনের মতো স্ক্রিপ্ট বানায়। নাট্যমঞ্চ সাজিয়ে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করতে চায়।’ সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি...
ছবি সংগৃহিত
‘আমাদের প্রক্টর ডিবি হারুনের মতো স্ক্রিপ্ট বানায়। নাট্যমঞ্চ সাজিয়ে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করতে চায়।’ সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) র্যাগিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত এক শিক্ষার্থীকে আজীবন ও ২৪ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রশাসনের এসব বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এসব মন্তব্য করেন অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুর ইসলাম হাফিজ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে ‘প্রহসনের বহিষ্কারাদেশ মানিনা মানব না’ ¯েøাগান দেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুর ইসলাম হাফিজ বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাটক শুরু করেছে। আর এই নাটকের স্ক্রিপ্ট যায় প্রক্টর অফিস থেকে। আমাদের প্রক্টর ডিবি হারুনের মতো স্ক্রিপ্ট বানায়। নাট্যমঞ্চ সাজিয়ে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করতে চায়। জিম্মি করার যে পাঁয়তারা, সেটা সাস্টে চলবে না। আমরা কারও কাছে জিম্মি থাকতে চাই না।’
অর্থনীতি বিভাগের ১ম বর্ষ, ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রাফিয়া চৌধুরী রুপা বলেন, ‘আমাদের সিনিয়রদের (৩৩ তম ব্যাচ) সাথে গত এক বছর আগের ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভুল বুঝাবুঝির দরুন হয়েছে। এবং এই ঘটনাটির সমাধান অনেক আগেই হয়ে গেছে। তবুও এই ঘটনা নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলা হচ্ছে যা একেবারেই ভিত্তিহীন। গত কয়েকদিন আগেও আমরা আমাদের সিনিয়র আপুদের সাথে একটা গেট টুগেদার এর আয়োজন করি এবং অনেক উপভোগ করি। যা একে অন্যের সাথে ভালো সম্পর্ক না থাকলে করা সম্ভব ছিল না। আগে যা হয়ছিল তা সুন্দরভাবে মিটমাট হয়ে গেছে। প্রক্টরিয়াল বডি জোরপূর্বক আমাদের ব্যাচমেটদের কাছ থেকে কথা উদ্ধার করে এখন আবার এইগুলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কিসের ভিত্তিতে আমরা জানিনা। আমরা এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করি না। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তের অবিলম্বে প্রত্যাহার চাই।
শিক্ষার্থীদের দাবি সিনিয়র জুনিয়র বসে মীমাংসা করার পরেও জোরপূর্বক এ শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। তবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, ‘উপাচার্য ও আমি দুই বিভাগের প্রধানদের নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে আমরা বলেছি, শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষায় বসুক এবং বিভাগের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে আপিলের জন্য আবেদন করুক। তাহলে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দিকে যাবে।’
এসএ/সিলেট