কুলাউড়ায় ভারতীয় বিড়ি ও সিগারেট...
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিড়ি ও সিগারেট জব্দ করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে...
ছবি সংগৃহিত
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) এম.কে.এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন (পিপিএম) বলেছেন, এবছর আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে মানুষ দুর্গোৎসব উদযাপন করছে, সেটা খুবই উপভোগ্য। তিনি বলেন, এবারের পূজা মন্ডপের নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রথম থেকেই প্রতিটা মন্ডপের সভাপতি ও সেক্রেটারির সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাদের সমস্যাগুলো শুনেছি এবং সেরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি।
তিনি বুধবার বিকেলে বড়লেখা পৌরসভার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
পূজার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এসপি আরও বলেন, সকল প্রোগ্রামের পেছনে কিছু খারাপ ব্যক্তি তো থাকেই; সেগুলোর বিষয়ে আমাদের গোয়ান্দো নজরদারি আছে।
সাধারণ মানুষের সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি। কেউ কোনো রকম কুচিন্তা করলে যাতে আমরা জানতে পারি, এজন্য কানেকশনটা আমাদের রুট লেভেলের সঙ্গে আছে। আশা করি, এর ভেতরের কোনো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত নেই। কারণ পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছে। সেজন্য আমি মনে করি, সকল সম্প্রদায়ের মানুষই এই শারদীয় দুর্গোৎসব কোনো রকম ভয়, শংসয় বা দ্বিধা ছাড়াই উপভোগ করতে পারবেন।
এসপি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মিডিয়ারও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আপনারা মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের নিরাপত্তার তথ্য প্রকাশ করুন। শারদীয় দুর্গোৎসব যেন সুষ্ঠুভাবে উপভোগ করা যায়। এজন্য যা যা করার দরকার তা করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর।
পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন, বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত কুমার পাল ও পৌর কমিটির সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র নাথ, কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী বিশ্বজিত দেব বিধানসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এবার বড়লেখায় ১৪৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৩২টি সার্বজনীন ও ১৩টি ব্যক্তিগত। তন্মধ্যে ২০টি মণ্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মণ্ডপে নজরদারি বাড়িয়েছে প্রশাসন। সীমান্তঘেঁষা ২৪টি মণ্ডপে টহল দিচ্ছে বিজিবি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীও মোতায়েন রয়েছে।
এসএ/সিলেট