শাবি শাখা ইসলামী ছাত্র...
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখার ২০২৫-২৬ সেশনের পূনর্গঠন সম্পন্ন হয়েছে।এতে শাবিপ্রবি শাখার...
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
ছবি সংগৃহিত
সিলেটের গোয়াইনঘাটে বালুখেকোদের নির্বিচারে বালু লুটপাটের প্রতিবাদ করে মিথ্যা মামলায় কারাগারে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার। পুলিশের সঙ্গে বালুখেকোরা মিলে তাকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন বাংলাবাজার ও মুকতলা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সদস্য নুরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মিথ্যা মামলায় কারাগারে যাওয়া রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার বাংলাবাজার-মুকতলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। পাশাপাশি তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপি’র ত্রান বিষয়ক সম্পাদক ও মধ্য জাফলং ইউপি’র একাধিকবারের মেম্বার। বিগত আওয়ামী লীগ আমলে বালু লুটের ঘটনায় তিনি প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতা সুভাস, মুজিব ও রাসেল চক্রের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৯ শে জুলাই দুদক আইনে সিলেটের আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। তার ওই মামলা এখন আদালতের নির্দেশে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে দুদক।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম বলেন- পট পরিবর্তনের পর বালু লুটের বিপক্ষে অবস্থান ছিলো রিয়াজ উদ্দিন তালুকদারের। প্রায় ৪ মাস আগে তিনি বাংলাবাজার, বালির হাওর, বাউরভাগসহ কয়েকটি এলাকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে বালু খেকোদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। অবৈধ লুটে রাজি না হয়ে বাংলাবাজারে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এরপর বালুখেকোরা সংঘবদ্ধ হয়ে একাধিবার ব্যবসায়ীদের ওপর সশস্ত্র হামলা করে। পরে বালু লুটের পথকে সুগম করতে জাফলং ব্রিজের ১৯ জুনের একটি ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে আসামি করা হয়। পরে ৭ জুলাই গোয়াইনঘাটের তিতারাইয়ের অবৈধ রয়্যালিটি ঘাটের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক আজমলসহ আসামিদের সঙ্গে তাকেও আসামি করা হয়েছে। অথচ এ ঘটনাও তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। গত ২৯ শে জুলাই স্থানীয় বাংলাবাজারে বালুখেকো চক্রের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুপ্ত হামলায় আহত হন বাংলাবাজারের বালুখেকো আলী হোসেন। ঘটনার সময় রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার ঢাকায় অবস্থান করলেও তাকে সহ তার ভাই, ভাতিজাসহ ব্যবসায়ীদের আসামি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল জানান- জাফলং, বাংলাবাজার, হাজীপুরসহ কয়েকটি লিজ বর্হিভূত এলাকা থেকে বালু লুটের নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপি নেতা স্ট্যালিন তারিয়াং। গোয়াইনঘাট সদরে তিতারাই ঘাট নিয়ন্ত্রন করতো উপদেষ্টাদের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় বহিস্কৃত গোয়াইনঘাট যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ খান ও তার ভাই জিয়ারত খান। হাজীপুর, বাংলাবাজার, জাফলং বালু লুটে নেতৃত্ব দিয়েছে স্ট্যালিনের খাস লোক লুনি গ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী খায়রুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও রিয়াজ। বাংলাবাজারে এবার বালু লুট করা হয়েছে বালুখেকো বাউরভাগ গ্রামের আলী হোসেন, খান বাহাদুর, ইয়াকুব আলী, খুরশেদ আলম ও এবারত হোসেনের নেতৃত্বে। বালু ও পাথর লুটের ঘটনায় বিতর্কিত হয়ে গোয়াইনঘাট থেকে প্রত্যাহার হয়েছে এসআই উৎসব কর্মকার, এসআই ওবায়দুল্লাহ সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে তারা গোয়াইনঘাটের বালু লুটের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে বলেন, আমাদের সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা রিয়াজ উদ্দিন তালুকদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনায় যে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে সেগুলো থেকে তাকে অব্যাহতি দানের আবেদন জানাই। আওয়ামী লীগের সময় নির্যাতিত এ বিএনপি নেতা বর্তমান সময়ে নির্যাতন ও জুলুমের শিকার। তার কলেজ পড়–য়া সন্তানদের আসামি করেছে। এ ব্যাপারে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাবাজার-মুকতলা ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি মাতাউর রহমান মাতাই, সদস্য রশিদ সরকার, ইউনুস তালুকদার, রফিক, শাহীন প্রমুখ।
এসএ/সিলেট