দ. কোরিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে...
এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি দক্ষিণ কোরিয়া। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সেই দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১-১ গোলে সমতায় থেকে...
ছবি সংগৃহিত
এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি দক্ষিণ কোরিয়া। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সেই দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১-১ গোলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দু'দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে খেই হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৬-১ গোলের বড় হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে ৩২ দল আট গ্রুপে খেলছে। আট গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও সেরা তিন রানার্স আপ আগামী বছর থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলবে। বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ড্র করলে এইচ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে খেলতে পারতো। এই ম্যাচে ৫ গোলের ব্যবধানে হারায় এখন বাংলাদেশের তিন ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান ৫। ফলে সেরা তিন রানার্স আপের মধ্যে থাকা খানিকটা শঙ্কার মধ্যেই পড়েছে। গ্রুপের অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়া কাপ খেলা।
রোববার (১০ আগস্ট) লাওসের ভিয়েনতিয়েনে ম্যাচের ১৫ মিনিটে লিড নেয় বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠা শান্তি মার্ডি চমৎকারভাবে বল বাড়ান অপর পাশে থাকা তৃষ্ণা রানীর কাছে। সেখান থেকে বল জালে জড়িয়ে দলকে লিড এনে দেন তৃষ্ণা।
তবে এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০ মিনিটে লি হিয়াংয়ের গোলে সমতায় ফেরে দক্ষিণ কোরিয়া। বিরতির আগে টানা আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে আর কোনো গোল না হলে ১-১ এ সমতায় থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে দু'দল।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৪৮ মিনিটে এগিয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আরও খেই হারিয়ে ফেলেন আফঈদারা। ৬০ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক চু হেই ইয়ং গোল করে স্কোরলাইন ৩-১ করে নেন।
এরপর আরও তিন গোল হজম করে বাংলাদেশ। ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেন হেই ইয়ং। আর ৯০ মিনিটে লি হিউন করেন দলের হয়ে পঞ্চম গোল। রেফারির শেষ বাঁশির আগে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন ডিফেন্ডার জিন হেরিন।
এসএ/সিলেট