প্রতিজ্ঞা ভেঙে স্যুট পরে...
অবশেষে প্রতিজ্ঞা ভাঙলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্যুট না পরার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার তিনি হোয়াইট হাউসে...
ছবি সংগৃহীত
গাজা উপত্যকায় উড়োজাহাজ থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্সের আঘাতে মুহান্নাদ জাকারিয়া ঈদ (১৫) নামে এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) নেতজারিম করিডরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, দুর্ঘটনার পর ঈদের চারপাশে মানুষ ভিড় জমিয়েছে; কেউ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, তার মুখ রক্তাক্ত। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ভাই তাকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন এবং বাবা নুসাইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে তার নিথর দেহ জড়িয়ে আছেন। আল–জাজিরা ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করেছে।
রয়টার্সকে ঈদের ভাই বলেন, ‘আমার ভাই ত্রাণ নিতে গিয়েছিল। হঠাৎ একটি বাক্স সরাসরি তার ওপর পড়ে যায়। এতে সে মারা যায়। তারা (যে দেশগুলো সাহায্য পাঠাচ্ছে) সীমান্ত দিয়ে সরাসরি সাহায্য দিতে পারছে না। তারা ওপর থেকে ত্রাণের বোঝা ফেলছে। এতে আমাদের শিশুরা মারা যাচ্ছে।’
জাতিসংঘ দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছে, আকাশপথে ত্রাণ ফেলা ঝুঁকিপূর্ণ, ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর। সংস্থাটি ইসরায়েলের কাছে বারবার স্থলসীমান্ত দিয়ে নিয়মিত মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি চেয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণের আঘাতে কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১২৪ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে গাজার হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল সারা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৪৭ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অনেকেই ত্রাণের অপেক্ষায় ছিলেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জন অনাহারে মারা গেছেন। এতে যুদ্ধ শুরুর পর অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২১২–তে পৌঁছেছে, এর মধ্যে ৯৮ শিশু।
এই দুর্ঘটনা ঘটল এমন এক সময়, যখন গাজার সবচেয়ে বড় শহর দখলের ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা তুঙ্গে।
এসএ/সিলেট