জৈন্তাপুর ও লালাখাল এলাকায় বালু...
সিলেটের সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর ও লালাখাল এলাকায় জাতীয় সম্পদ বালু ও পাথরের অবাধ লুটপাট বন্ধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে।...
ছবি সংগৃহিত
সিলেটের সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর ও লালাখাল এলাকায় জাতীয় সম্পদ বালু ও পাথরের অবাধ লুটপাট বন্ধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) লালাখাল বিওপিতে সাংবাদিকদের ১৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার পিএসসি বলেন, ‘নিয়মিত টহল ও বিশেষ অভিযানের কারণেই এ এলাকায় বর্তমানে কোনো অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন হচ্ছে না। বিজিবির উপস্থিতির ফলে সীমান্তঘেঁষা এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্পট এখনও পর্যটকদের জন্য সুরক্ষিত রয়েছে।’
তিনি জানান, ‘ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, জাফলং, বিছানাকান্দি ও জৈন্তাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় শূন্যরেখা থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ পর্যন্ত এখনও বিপুল পরিমাণ পাথর অক্ষত আছে। ফলে পর্যটকরা নির্বিঘ্নে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন। একইভাবে লালাখাল এলাকায় বিজিবির টহল অব্যাহত থাকায় আসন্ন শীত মৌসুমেও পর্যটকরা নিশ্চিন্তে ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।’
অধিনায়ক জানান, ‘শুধুমাত্র গত চার মাসে বিজিবি প্রায় চারশ’ থেকে ছয়শ’ অবৈধ বালু-পাথরবাহী নৌকা আটক করেছে। শুধু লালাখাল নয়, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর অঞ্চল থেকেও অসংখ্য নৌকা জব্দ করা হয়েছে। এসব অভিযানে গভীর রাতেও বিজিবি সদস্যরা জীবন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন, যেখানে অনেকেই আহত হয়েছেন। তারপরও দায়িত্বের জায়গা থেকে তারা পিছপা হন নি।’
অবৈধ পাথর ও বালু পাচারে কারা জড়িত-এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো তদন্ত করছে এবং বিজিবি তাদের নিয়মিত সহযোগিতা করছে। সদর দপ্তর থেকেও তদন্ত টিম কাজ করছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনসাধারণ আমাদের পাশে থাকলে দেশের সম্পদ কখনও অবৈধভাবে লুটপাট হতে পারবে না। বিজিবির এ দৃঢ় অবস্থান স্থানীয় জনসাধারণ ও দেশপ্রেমিক মানুষদের আশ্বস্ত করেছে। অবৈধ লুটপাট বন্ধ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য টিকিয়ে রাখার এ প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের এক অনন্য নজির। জনসাধারণের প্রত্যাশা, বিজিবির এই অটল অবস্থান ও আত্মত্যাগ দেশের সীমান্ত ও সম্পদকে আগামীতেও সুরক্ষিত রাখবে।’
এসএ/সিলেট