বিয়ানীবাজার পৌর শহরে ডাকাতি, অর্ধকোটি...
সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার নিদনপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আবুল মিয়ার বাড়িতে ডাকাতদল হানা দেয়। এসময় ডাকাতদল নগদ...
পাথর লুটের ঘটনায় মামলা
ছবি সংগৃহীত
পর্যটন এলাকাখ্যাত সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং থেকে পাথর লুটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃষ্টির মধ্যে গত ৭ ও ৯ আগস্ট গভীর রাতে সরানো হয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর সরিয়েছে একটি চক্র।
এতে অজ্ঞাতনামা ১ থেকে দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) গোয়াইনঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আব্দুল মুনায়েম। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ।
মামলার এজহারের বরাতে পুলিশ জানায়, ৭ ও ৯ আগস্ট সরকারের জাফলংস্থ গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ ও অননুমোদিতভাবে কোটি টাকার পাথর লুটপাট করেছে একটি চক্র। দুবারই ১টা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে সরানো হয়েছে পাথর। এতে ব্যবহৃত হয়েছে ৫০ থেকে ৬০টি নৌকা। যেখানে প্রায় ১শ’ থেকে দেড়শ দুর্বৃত্ত অংশ নেয়।
এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় জড়িত কয়েকজনের পরিচয় ইতোপূর্বে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে চলছে অভিযান। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে। তবে শনাক্ত হওয়া আসামিদের নাম পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হয়নি সূত্রটি।
থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, জাফলংয়ে পাথর লুটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো সম্ভব হবে।
এর আগে ১৫ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে পাথর লুটের ঘটনায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল করিম অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সারা দেশে ৫১টি কোয়ারি (পাথর ও বালু উত্তোলনের নির্দিষ্ট স্থান) আছে। এর মধ্যে সিলেটের কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে আছে আটটি পাথর কোয়ারি। এর বাইরে সিলেটে সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দি, উৎমাছড়াসহ আরও ১০টি জায়গায় পাথর আছে।
এসব জায়গা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সীমান্তের ওপারে ভারতের পাহাড়ি নদী থেকে এসব পাথর আসে। ২০২০ সালের আগে সংরক্ষিত এলাকা বাদে সিলেটের আটটি কোয়ারি ইজারা দিয়ে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হতো। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির কারণে ২০২০ সালের পর আর পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হয়নি।
সিলেটের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা সব সময় পাথর উত্তোলনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। বিগত পাঁচ বছরে তারা নানাভাবে কোয়ারি ইজারা আবার চালুর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সরকার অনুমতি দেয়নি। এ অবস্থায় রাতের বেলা আড়ালে অবৈধভাবে পাথর তোলা হতো। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর টানা এক বছর দেদার পাথর লুটপাট করা হয়েছে।
এসএ/সিলেট