সাদাপাথর পরিদর্শনে সিলেটের জেলা প্রশাসক

post-title

ছবি সংগৃহিত

সাদাপাথর পর্যটনবান্ধবই রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। তিনি জানান, সাদাপাথরে অনেক পর্যটক আসছেন এবং তারা নির্বিঘ্নে উপভোগ করতেছেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, আপনারা এখানে আসুন, এখানে যে অবস্থা রয়েছে, সেটা পর্যটনবান্ধবই রয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, আমরা আশা করছি যেই পাথরগুলো চুরি হয়েছে, সেগুলো পুনরায় প্রতিস্থাপন করতে পারবো। এটা একটা সময়সাপেক্ষ বিষয়। আমরা সেজন্য প্রস্তুতি নিয়েছি এবং সেটা সম্পন্ন করবো। একইসাথে এখানে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো যাতে আর কেউ করতে না পারে, সেজন্য যারা এ কাজের সাথে জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার সহ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।

এসময় তিনি আরো বলেন, বুধবার থেকে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১২০টি সাদাপাথর বুঝাই ট্রাক আটক করা হয়েছে। এই পাথরগুলোও সাদাপাথর এনে প্রতিস্থাপন করা হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, লোকাল প্রশাসনের গাফিলতি থাকলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পরিদর্শনে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নুরে জামান চৌধুরী, সিলেট জেলার এডিশনাল এসপি মতিউর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন নাহার প্রমুখ।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় সাদাপাথর থেকে লুটপাট করে নিয়ে আসা পাথর পুনরায় সাদাপাথর এলাকায় প্রতিস্থাপন করা শুরু করে উপজেলা প্রশাসন।

সন্ধ্যা থেকে তাদের এই অভিযান চলে ভোর পর্যন্ত। এদিন সিলেটের জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় পাথর লুটপাট ঠেকাতে লুট হওয়া সাদাপাথর প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, লুটপাট হওয়া সাদাপাথর উদ্ধার করে পুনরায় আগের জায়গায় নিয়ে ফেলা হবে। এছাড়াও এ সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।

কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্টে যৌথ বাহিনীসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে। পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চলে এ অভিযান। অভিযানে কালাইগর এলাকা থেকে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়। পরে এই পাথর নৌকা দিয়ে আবারও সাদাপাথর এলাকায় প্রতিস্থাপন করা হয়।



এসএ/সিলেট