স্কুলছাত্রী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা : ফুফা জেলহাজতে

post-title

ছবি সংগৃহিত

নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগ উঠেছে ফুফার বিরুদ্ধে।  অন্তঃসত্ত্বা ওই মেয়ের বয়স ১৫ বছর। এ ঘটনায় বুধবার (২৫ জুন) বিকেল ৩টার দিকে স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে আব্দুল হালিমকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আব্দুল হালিম সিলেট এয়ারপোর্ট থানার সাহেববাজারের রামপুর এলাকার আব্দুল হেকিমের ছেলে।

জানা যায়,  ভিকটিম (১৫) স্কুলছাত্রী বিগত ৭/৮ মাস ধরে তার ফুফুর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। আসামী সম্পর্কে ভিকটিম (১৫) এর ফুফা হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারী রাতে আসামী আব্দুল হালিম ভিকটিমের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

গত ২২ জুন ভিকটিম এর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে ভিকটিমের পিতা ভিকটিমকে দেখতে গিয়ে ঘটনাটি জানতে পারেন এবং চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আলট্রাসনোগ্রাফি ও অন্যান্য পরীক্ষায় ভিকটিমের ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

ভিকটিম এর পিতা উক্ত ঘটনার বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার অভিযোগ দায়ের করলে এয়ারপোর্ট থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-২৫/০৬/২০২৫খ্রিঃ, ধারা-৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধন ২০২০) রুজু হয়। আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্ত্রীর আপন বড় ভাইয়ের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে হালিম নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে তোলা হলে আদালত আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। অন্যদিকে ভুক্তভোগী ওই মেয়ে এখনো সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’

এসএ/সিলেট