মেজরটিলায় শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন : পিতাই হত্যাকারী!

post-title

নিহত শিশু ও তার আহত বাবা।

নগরীর মেজরটিলা এলাকায় শিশু ইনায়াকে খুন করেছেন বাবা নিজেই। বাথরুমে নিয়ে বটি দিয়ে গলা কেটে তাকে খুন করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

গত বুধবার বিকেলে শাহপরান (রহঃ) থানার ইসলামপুর এলাকার কোরেশী ভিলা ১৮/এ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।


নিহত শিশু ইনায়ার বাবা আতিকুর রহমান পেশায় একজন সিএনজি চালক। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। দুই বছর আগে আতিক ও ঝুমার বিবাহ হয়। তাদের সংসারে একমাত্র সন্তান ছিল এই দুই মাসের ইনায়া।

স্থানীয়রা জানান, পরিবার নিয়ে ইসলামপুর এলাকার আনসার মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আতিকুর। প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে খাবার খাওয়ার পর স্ত্রীসহ আতিকুর রহমানের পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে হঠাৎ করে আসরের দিকে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দেখতে পান আতিকুর রহমানের পাশে তার ২ মাসের মেয়ে ইনায়া রহমানের গলাকাটা এবং পাশেই অটোরিকশা চালক আতিকুর রহমানের গলা অর্ধেক কাটা রয়েছে।

নিহত শিশুর মা ঝুমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, দুপুরের খাওয়া শেষে ঘুম থেকে উঠতে দেখেন, তার স্বামী শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর তার নিজের গলা কাটছে। তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষজন এসে হতাহতদের উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় ঘরে উপস্থিত ছিলেন ইনায়ার মা ঝুমা বেগম। তাঁর দেয়া তথ্য ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাওয়া অন্যান্য প্রমাণ বিশ্লেষণে নিশ্চিত হওয়া গেছে—ইনায়ার পিতা নিজ হাতে তাকে বাথরুমে নিয়ে যায় এবং ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুর রহমান দাবি করেছেন, তিনি কিছুক্ষণের জন্য নিজের মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন। তার ভাষ্য, “মাথাব্যথার কারণে হঠাৎ মাথায় কী যেন হয়ে গিয়েছিল, বুঝতেই পারিনি।”

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত বটি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


এসএ/সিলেট