ছবি সংগৃহিত

দেশের সরকারি কলেজগুলোর মান উন্নয়ন ও শ্রেণিবিন্যাস নিশ্চিত করতে মোট চারটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-৫ শাখা থেকে এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দেশে মোট সরকারি কলেজের সংখ্যা ৭০৮টি। কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি এবং অনার্সের বিষয় অন্তত ১০টির বেশি থাকতে হবে।

এ মান‌‌দন্ডে দেশের ৮১টি কলেজকে 'এ' ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। সিলেট বিভাগের চারটি কলেজ এ ক্যাটাগরিতে থাকলেও সিলেট জেলায় একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজ। এছাড়া বাকি তিনটি কলেজ হলো- বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ, সুনামগঞ্জ।

শিক্ষার্থীসংখ্যা সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৮ হাজার এবং অনার্সের বিষয় ৫টির বেশি থাকা কলেজগুলোকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে ৭৪টি কলেজ।

এই তালিকায় মহানগর ও জেলার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপ‚র্ণ কলেজ স্থান পেয়েছে-এর মধ্যে আছে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, সিলেট, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ, সিলেট, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ, মৌলভীবাজার, মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজ, মৌলভীবাজার, সিলেট সরকারি কলেজ, সিলেট, ঢাকা দক্ষিণ ডিগ্রি কলেজ, সিলেট, দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ, সিলেট, সরকারি মদন মোহন কলেজ, সিলেট।

সবচেয়ে বেশি কলেজ রয়েছে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৪৪৬টি কলেজ। এ ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীসংখ্যা সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ হাজার এবং অনার্সের বিষয় সংখ্যা ১ থেকে সর্বোচ্চ ৪টি।

এ ছাড়া কেবল উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানকারী ১০৭টি সরকারি কলেজকে রাখা হয়েছে ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে। সিলেট অঞ্চলের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও এই তালিকায় রয়েছে-যেমন সরকারি মাহমুদ চৌধুরী একাডেমী, সিলেট, শাহ পরান সরকারি কলেজ, সিলেট, জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ, সিলেট, সিলেট সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট, পাগলা সরকারি মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ, সুনামগঞ্জ। নতুন এই শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে দেশের সরকারি কলেজগুলোর সক্ষমতা ম‚ল্যায়ন সহজ হবে এবং ভবিষ্যতে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে এটিকে একটি রেফারেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এসএ/সিলেট