ফুটপাত দখল মুক্ত করতে নগরীতে ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান

post-title

ছবি সংগৃহিত

ফুটপাত দখল মুক্ত করতে মহানগরীর ৭টি পয়েন্টে ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানের ব্যাপারে গত প্রায় একমাস থেকে সতর্ক করা হচ্ছিল।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) সারাদিন নগরীর ৭টি পয়েন্টে ৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চলে অভিযান। পয়েন্টগুলো হচ্ছে, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, শেখঘাট, রিকাবীবাজার, তালতলা, জিন্দাবাজার। অভিযানে হকারদের উচ্ছেদের পাশাপাশি স্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখল থেকে ফুটপাতও মুক্ত করা হচ্ছে।

নগরবাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল যানজট। এজন্য প্রধানত দায়ী ভাসমান ব্যবসায়ী এবং হকাররা। পাশাপাশি বিভিন্ন মার্কেটের সামনের ফুটপাত এবং রাস্তাও অবৈধভাবে দখল করে রাখছিলেন স্থায়ী ব্যবসায়ীরা। তাদের কারণে ফুটপাতে পা ফেলারও জায়গা পাননা পথচারীরা। হাঁটতে হয় রাজপথ দিয়ে। এতে প্রায়ই নানা দুর্ঘটনা ঘটে।

সম্প্রতি সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম ও পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী পিপ্এম সিলেটের সুধি সমাজের সাথে মতবিনিময় করেন। নানা আলাপ আলোচনা শেষে সিলেটের জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অবৈধ যানবহাহন ও হকারদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী প্রায় একমাস ধরে নগরীতে চলছে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান। অভিযানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রহীন যানবাহন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আটক করা হয়েছে প্রচুর। বর্তমানে নগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আগের চেয়ে অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।
আর হকারদের ব্যাপারে মানবিক বিবেচনায় তাদের প‚ণর্বাসনের জন্য লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেট প্রস্তুত করতে কিছুটা সময় নেওয়া হয়।

গত ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহানগর পুলিশ ও সিলেটের জেলা প্রশাসক পরিস্কার ঘোষণা দেন, রবিবার থেকে সিলেটের রাজপথ বা ফুটপাতে আর কোনো হকার বসতে পারবেনা।

রবিবার সকাল থেকে তাদের আর ওসব স্থানে দেখা যায়নি। দু’একজন বসার চেষ্টা করলেও পুলিশ দেখলেই দৌড়ে পালিয়েছেন তারা।

এদিক, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, তালতলা, লামাবাজার, রিকাবিবাজার এলাকার গুরুত্বপ‚র্ণ বিভিন্ন সড়কের পাশের মার্কেটের দোকানদাররা তাদের পণ্যের পশরা একেবারে ফুটপাত ছাড়িয়ে অনেক সময় রাজপথেও নিয়ে আসেন। এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও চলছে কঠোর অভিযান। তাদের পণ্য সামগ্রী নিজের দোকানের ভেতরে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

কোনো অবস্থাতে রাজপথ বা ফুটপাতে কোনো পণ্যের পসরা রাখা যাবেনা বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এমনকি, বন্দরবাজার এলাকায় অনেক দোকানের সাইনবোর্ড-ইত্যাদিও সরিয়ে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

প্রশাসনের এমন কঠোর অভিযানের বিষয়টি জেনে বা দেখে নগরবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। তবে দখলদার ব্যবসায়ীরা নানাভাবে উষ্মা প্রকাশ করছেন। আর হকাররা এখন রীতিমতো আতঙ্কিত। তারা লালদিঘীরপারে বসার তোড়জোড় শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।


এসএ/সিলেট