নোমান হত্যার দায় স্বীকার শ্যালক...
আদালতের নির্দেশে ৪ দিনের পুলিশের রিমান্ড শেষ জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যার দায় স্বীকার করলেন শ্যালক সুমন। রবিবার চার দিনের...
ছবি সংগৃহিত
দক্ষিণ সুরমা থেকে ৫০ কেজি গাঁজাসহ চারজন মাদককারবারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব-৯, সদর কোম্পানি, সিলেটের একটি অভিযানিক দল সকাল ৭টা ১০ মিনিটের দিকে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে। এর আগে গোপন সূত্রে খবর পায় যে, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর এলাকা থেকে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী একটি টয়োটা ক্লুজার গাড়িতে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে সিলেট শহরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
পরবর্তীতে র্যাবের দলটি লালাবাজার পপুলার স-মিল অ্যান্ড ফার্নিচার-এর সামনে চেকপোস্ট পরিচালনার সময় সকাল পৌনে ৮টায় সিলেটগামী গাড়িটিকে থামানোর সংকেত দেয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়িতে থাকা তিনজন পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে তাদের আটক করে।
তল্লাশিতে গাড়ির পেছনের সিটে রাখা চারটি প্লাস্টিকের বস্তা ও একটি কাপড়ের ব্যাগ থেকে খয়েরি রঙের স্কচটেপে মোড়ানো অবস্থায় ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ সুরমার বাইপাস রোড এলাকা থেকে গাঁজা ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত আরও একজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার ভান্ডারুয়া গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে মোঃ আইয়ুব আলী, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার বাশতলী গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আবুল হাসেম, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার সিদলাই গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে আতাউর রহমান, সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত আলকাস মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম।
র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে. এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে তাদের ও জব্দকৃত গাঁজা দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
এসএ/সিলেট