ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে ট্রেন দুর্ঘটনার প্রায় চার ঘন্টা পর ঢাকার সাথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে লাইনচ্যুত কামরা সরিয়ে স্বাভাবিক করা হয়। এসময় সিলেট স্টেশনে আটকে পড়া কালনি এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় চার ঘন্টা দেরিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এদিকে, এ ঘটনায় দায়িত্বশীল ২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও পৃথক ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে উভয় কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে দুর্ঘটনার পর কমিটি গঠন ও বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। বরখাস্তকৃত টেনের দুই কর্মকর্তা হলেন-উদয়ন এক্সপ্রেসের লোকো মাস্টার মো. ইলিয়াস ও সহকারী লোকো মাস্টার জহিরুল ইসলাম নোমান। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় পৃথকভাবে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে চার সদস্যবিশিষ্ট আরেকটি কমিটি করা হয়েছে। উভয় কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের অন্তত তিনটি বগি সিলেটের নিকটবর্তী মোগলাবাজারে লাইনচ্যুত হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় সিলেটের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেটের মোগলাবাজার রেলওয়ে স্টেশন এলাকা অতিক্রম করার সময় এর ইঞ্জিনসহ অন্তত ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর মধ্যে দুটি কামরা উল্টে যায়। এসময় যাত্রিদের মধ্যে চরম আতংক দেখা দেয়। বেশ কয়েকজন আহতকে উদ্ধার করা হয়। তবে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা দ্রুত উদ্ধার ও মেরামত কাজ শুরু করেন।  সকাল সাড়ে ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে একটি লাইন সচল করা সম্ভব হয়। এরপর সিলেট থেকে ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি মোগলাবাজার থেকে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।  তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কা/আ

নিজস্ব প্রতিবেদক