নোমান হত্যার দায় স্বীকার শ্যালক...
আদালতের নির্দেশে ৪ দিনের পুলিশের রিমান্ড শেষ জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যার দায় স্বীকার করলেন শ্যালক সুমন। রবিবার চার দিনের...
ছবি সংগৃহিত
সিলেটের গোয়াইনঘাট নদীর বুকে ফুটে উঠা কাঁশফুল গুলো পর্যটকদের জন্য নতুন স্থানে পরিনত হয়েছে। জাফলং জিরো পয়েন্ট, মায়াবী ঝর্ণা সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি উপভোগ করা যাচ্ছে কাঁশ ফুলের সৌন্দর্য্য।
সরেজমিনে জাফলং পিয়াইনের বুকে জেগে উঠা চর ঘুরে দেখা যায়, কাঁশ ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে জাফলং ঘুরতে আসা পর্যটকরা ভীড় জমাচ্ছে।
দীর্ঘ দিন পর্যটন স্পট বন্ধ থাকা এবং জাফলং ইসিএ ভূক্ত এলাকায় পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকার কারনে জাফলংয়ের পিয়াইনের বুকে চর জেগেছে। সেই চরে সুবিশাল চর জুড়ে প্রাকৃতিক ভাবে ফুটে উঠেছে কাঁশফুলের বাগান। জাফলং ঘুরতে আশা সৌন্দর্য্য পিপাসুরা নতুন করে এই কাঁশ ফুলের সাথে মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজের মত করে আনন্দ উপভোগ করছে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের সুবিশাল কাঁশ ফুলের বাগান দেখা মিলেনি।
প্রকৃতি জাফলংয়ের স্বচ্ছ পানি, ঝর্ণা, পাথরের অপরূপ সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি উপহার স্বরুপ প্রাকৃতিক কাঁশফুলের বাগান করে দিয়েছেন। কাঁশ ফুলের জন্য পর্যটকরা আলাদা ভাবে দেশের অন্য অঞ্চলে যেতে হবে না। একই স্থানে পাওয়া যাচ্ছে কাঁশফুলের সৌন্দর্য্য।
ঢাকা হতে আসা ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার আবুল হোসেন মিজান জানান, আমরা সব সময় নতুন নতুন পর্যটন স্থান খুঁজে বেড়াই। স্থানীয় ফটোগ্রাফারদের মাধ্যমে খোঁজ মিলে জাফলং পিয়াইন নদীর বুকে জেগে উঠা চরে বিশাল কাঁশ ফুল ফুটেছে। ফটোগ্রাফীর লোভ সামলাতে না পেরেই দ্রুত চলে আসি ফটোগ্রাফী করতে। আরও বলেন, মুলত পর্যটন প্রেমীরা প্রাকৃতিক ঝর্ণা আর জাফলংয়ের সাদাপাথর ও সচ্ছ জলরাশির সাথে আনন্দ ভাগাভাগী করেতে।
মায়াবী ঝর্ণার সন্নিকটে বিশাল চর জুড়ে কাঁশফুল ফুটে উঠেছে অতিথি কখনও দেখা মিলেনি। জাফলংয়ের ছবি নিয়ে কাজ করতে বহু বৎসর আশা যাওয়া করছি, কখনো কল্পনা করতে পারিনি কাশঁফুলের দেখা মিলবে। সত্যিই পর্যটকদের জন্য সৃষ্টিকর্তা আরেকটি পর্যটন স্পট তুলে ধরলেন।
কিশোরগঞ্জ হতে আগত ফ্যিল্যান্স ফটোগ্রাফার আরোহী ইসলাম স্বর্না, ফাতেমা আক্তার স্বপ্না, চিকিৎসক আশিকুর রহমান আশিক, সিলেট হতে আসা ফটোগ্রাফার সাদেক আহমদ, জৈন্তাপুর ফটোগ্রাফার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাি মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির বলেন, কাশঁফুলের সন্ধান পেয়ে স্থানটিকে পর্যটন প্রেমীদের কাছে তুলে ধরার জন্য কাজ করছি। আমাদের দাবী স্থানীয় প্রশাসন পিয়াইনের বুকে চিরে জেগে উঠা কাঁশফুলের চরকে সংরক্ষণ করার।
সাভার হতে আসা পর্যটক মুজাহিদুল ইসলাম স্বপরিবারে মায়াবী ঝর্ণা ঘুরতে আসেন, ঝর্ণা দেখতে গিয়ে কাঁশফুলের বিশাল এলাকা দেখে স্বপরিবারে নিজের আনন্দ কাঁশ ফুলের সাথে বিলিয়ে দিতে ভূলে যাননি। তিনি বলেন এখানে কাঁশফুল রয়েছে তার জানা ছিল না। স্থানীয়রা কাঁশফুল সম্পর্কে পর্যটকদের কিছু বলছে না। হঠাৎ করে কাঁশফুল দেখে লোভ সামলাতে না পেরে কাঁশফুলের সাথে নিজের আনন্দ ভাগাভাগী করি। তার দাবি জাফলংয়ের মায়াবী সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি কাঁশফুলকে তুলে ধরার।
স্থানীয় সাংবাদিক কাওছার আহমদ রাহাত বলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা একটি পর্যটন এরিয়া। মায়াবী ঝর্ণার পার্শ্ব এরিয়া ঘিরে যে কাঁশফুলের দেখা মিলেছে সত্যিই আনন্দের সংবাদ। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি কাঁশ ফুল এরিয়াটিকে সংরক্ষণ করার জন্য। পাশাপাশি পর্যটকদের আহবান যানাচ্ছি কাঁশফুলের সাথে আপনাদের আনন্দ বিনোদন উপভোগ করবেন।
এসএ/সিলেট