নোমান হত্যার দায় স্বীকার শ্যালক...
আদালতের নির্দেশে ৪ দিনের পুলিশের রিমান্ড শেষ জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যার দায় স্বীকার করলেন শ্যালক সুমন। রবিবার চার দিনের...
ছবি সংগৃহীত
সিলেটে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। গরমের তীব্রতায় তৃষ্ণার্ত মানুষ ও প্রাণীকুলে নাভিশ্বাস উঠেছে। চারিদিকে একটু শীতল পরশ লাভের জন্য মানুষের যেন ব্যাকুল প্রচেষ্টা। অসহ্য গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাস্তায় বের হওয়া মানুষের। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেটের জীবনযাত্রা।
একান্ত জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে রাস্তায় বের হওয়া যাচ্ছে না। চোখে-মুখে যেন আগুনের তাপ লাগছে। তবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় সিলেটে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সূর্যের প্রখর খরতাপে পুড়ছে মহানগরী। প্রচণ্ডে রোদে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পথচারী ও দিনমজুর। মহানগরের রাস্তায় মানুষ কম দেখা গেছে। যানবাহন চলাচলও কম ছিলো বিকলে পর্যন্ত। প্রচণ্ড রোদে লোকজন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। এ গরমে বেশী বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষজন। তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও সেটি অনুভূতির কোটা ৪২ এর ঘরে দেখা গেছে। হঠাৎ করে এমন গরমে নাজেহাল অবস্থা মানুষের।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ রুদ্র তালুকদার জানান, ‘টানা কয়েকদিন ধরে সিলেটে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। শুক্রবার দুপুর তিনটায় সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাবে আগামী পাঁচদিন সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের শুক্রবার প্রকাশিত পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ সুস্পষ্ট আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে এটি উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূলের অদূরে অবস্থান করছে এবং আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন অবস্থায় মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিস্তৃত হয়েছে উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসাম পর্যন্ত। বর্তমানে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কিছুটা দুর্বল থাকলেও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল থেকে রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমবে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
শনিবার থেকে ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকায় দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিনের পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমবে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশ কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশালে দু-এক জায়গায় বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই অবস্থা সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর)ও থাকবে। তবে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশালে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। সেদিন সারাদেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বর্ষণ এবং সমুদ্র উপকূলে ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসএ/সিলেট