কলার্সহোমের শিক্ষার্থীর মৃত্যু : তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন জেলা প্রশাসনের

post-title

ছবি সংগৃহীত

সিলেটের স্কলার্সহোম শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আজমান আহমেদ দানিয়াল (১৯)-এর আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্তে নেমেছে জেলা প্রশাসন। এ জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজমানের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এ কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পদ্মাসেন সিংহকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটিতে সিলেট মহানগর পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সদস্য রাখা হয়েছে।

স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে, আজমান আহমেদ দানিয়ালের আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ এবং এ ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি অনুসন্ধানপূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে হবে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্কলার্সহোম’র শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আজমান আহমেদ দানিয়াল (১৯)-এর মরদেহ নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আজমানের মত্যুর খবরে ছড়িয়ে পরার পর থেকেই স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার সহপাঠী ও ওই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

এমনকি অনেক সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও স্কলার্সহোমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাকেদের সাথে খারাপ আচরণ, পর্যাপ্ত ও দক্ষ শিক্ষক না থাকা, শিক্ষার্থী খারাপ করলে ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ রবিবার সিলেটের বেসরকারি ব্যক্তি মালিকানাধীন বিদ্যাপীঠ স্কলার্সহোম’র শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসে উপাধ্যক্ষের অপসারণসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের মুখে উপাধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন চৌধুরী পদত্যাগ করেন। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের লিখিত আশ্বাস দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এসময় আন্দোলনের মুখে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দেওয়া দাবি পূরণে আশ্বাস প্রদান করলে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচী স্থগিত করা হয়।

এসএ/সিলেট