চেম্বার ফি কমানোর দাবিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আইবিডব্লিউএফ’র স্মারকলিপি

post-title

ছবি সংগৃহিত

চেম্বার ফি কমানোর দাবিতে বাণিজ্য
মন্ত্রণালয়ে আইবিডব্লিউএফ’র স্মারকলিপি

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সিলেটসহ দেশের সকল চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ভর্তি ফি ও নবায়ন ফি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং তা কমানোর দািতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দেশের অন্যতম বৃহত্তম ব্যবসায়ী সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস এন্ড বিজনেসমেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (আইবিডব্লিউএফ)-এর উদ্যোগে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

আইবিডব্লিউএফ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পোদ্যাক্তা মুহম্মদ শহিদুল ইসলাম ও জেনারেল সেক্রেটারী ডাঃ আনোয়ারুল আজীমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৮ সদস্যের ১টি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী এর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক আলীমুল এহছান চৌধুরী, ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবু হুরায়রাহ্, আইবিডব্লিউএফ-এর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মো. আমিনুর রহমান, এমসি সদস্য একেএম রফিকুন্নবী, আইবিডব্লিউএফ-এর চট্টগ্রাম মহানগরী সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীর পাটোয়ারী ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারী সাব্বির আহমেদ।

স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাণিজ্যক সংগঠন আইন ২০২২ এর আলোকে প্রণীত বাণিজ্য সংগঠন বিধি ২০২৫ এর ধারা ১৪ উপধারা ৩ এ বর্ণিত বাণিজ্য সংগঠনের সদস্যদের ভর্তি ফি ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা এবং বার্ষিক চাঁদার হার ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের যথার্থতা আমাদের বোধগম্য নয়।

তারা বলেন, বাণিজ্য সংগঠন আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত অ্যাসোসিয়েশনগুলো তাদের নিজস্ব ফোরামে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভর্তি ফি এবং বার্ষিক চাঁদা নির্ধারণ করে থাকে।

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চেম্বারের নতুন সদস্যদের এককালীন ভর্তি ফি ও বর্তমান সদস্যদের নবায়ন ফি অস্বাভাবিকভাবে বর্ধিত করা হয়েছে। ইতিপূর্বে অর্ডিনারি মেম্বার এর ভর্তি ফি ছিল ১৬০০/- (এক হাজার ছয় শত) টাকা এবং নবায়ন ফি ছিল ৮০০/- (আট শত) টাকা। এসোসিয়েট মেম্বারের ভর্তি ফি ছিল ৮০০/- (আট শত) টাকা এবং নবায়ন ফি ছিল ৪০০/-(চার শত) টাকা। হঠাৎ করে উক্ত প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সকল নতুন সদস্যের ভর্তি ফি করা হয়েছে ১৫০০০/- (পনের হাজার) টাকা এবং সকল সদস্যের নবায়ন ফি করা হয়েছে ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা। এই ধরনের ফি বৃদ্ধির ঘটনা নজীরবিহীন। এই বৃদ্ধি শতভাগ বা দুইশত ভাগ নয় বরং হাজার ভাগেরও বেশী।

তারা বলেন, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজসহ বাংলাদেশের প্রায় সকল ট্রেড বডি গুলো দীর্ঘদিন থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের ক্লাবে পরিণত হয়েছিল। সাধারণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার পরিবর্তে কয়েকজন ব্যক্তি ও কয়েকটি পরিবারের স্বার্থে চেম্বারগুলোকে কুক্ষিগত করে ফ্যাসিবাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের পরিণত করা হয়েছিল।

তারা আরো বলেন, জেলা চেম্বার গুলির সদস্য হয় সাধারণত নতুন উদ্যোক্তা এবং এসএমই উদ্যোক্তা, যাদের মূলধনের পরিমাণ থাকে খুবই কম। ব্যবসার প্রয়োজনে চেম্বারের সদস্য ছাড়া তাদের সমগোত্রীয় এসোসিয়েশন গুলির সদস্য হওয়ার সক্ষমতা তাদের থাকে না। নতুন উদ্যোক্তা এবং এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সদস্য ভর্তি ফি ১৫,০০/- (পনের হাজার) টাকা এবং বার্ষিক চাঁদা ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা পরিমাণ হিসেবে অনেক বেশি। এত বেশি ভর্তি ফি এবং বার্ষিক চাঁদা দিয়ে নতুন উদ্যোক্তা এবং এসএমএস উদ্যোক্তাদের জন্য চেম্বারের সদস্য হওয়ার পথ রুদ্ধ হলে তাদের ব্যবসার পথটিও কঠিন হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় জেলা চেম্বার এর জন্য উক্ত বিধিটি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।

নেতৃবৃন্দ ফি বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর আলোকে প্রণীত বিধি ২০২৫ এর ধারা ১৪ উপর ধারা ৩ এর বর্ণিত সদস্যদের ভর্তি ফি এবং বার্ষিক চাঁদা সর্বোচ্চ ২০% বৃদ্ধি করা যেতে পারে বলে মতামত প্রদান করেন।

এসএ/সিলেট