শিশুকে যৌন নিপীড়ন: মুয়াজ্জিন...
মক্তবপড়ুয়া এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শিশুর বাবা বাদী হয়ে নারী...
স্থানীয় বিজিবি অস্বীকার
ছবি সংগৃহিত
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তের ১৩০২ মিইন পিলার এলাকার বাঘছড়া দিয়ে দালাল চক্রের সহায়তায় ভারত হতে ৬ রেহিঙ্গা সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় হলেও সংশ্লিষ্ট ১৯ বিজিবির লালাখাল বিওপি’র দায়িত্বরতরা বিষয়টি অস্বীকার করে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, সোমবার (২৫ আগষ্ট) দুপুর অনুমান ১২টায় জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের ১৩০২ পিলার এলাকার বাঘছড়া নামক স্থান দিয়ে ৬জন রোহিঙ্গা সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এসময় স্থানীয় দালাল কামরাঙ্গীখেল দক্ষিণ গ্রামের মহিব মিয়ার ছেলে সুলেমান, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে সেলিম তার নির্দেশে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে আনোয়ার উরফে আনর তাদেরকে বাঘছড়া এলাকায় জঙ্গলে নিয়ে আসে।
এসময় বাউরভাগ দক্ষিণ গ্রামের মো. আকবর আলীর ছেলে রোমান আহমদ ও আব্দুল মতিনের ছেলে আবুলসহ স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখতে পায়। এই ঘটনায় তারা ভিডিও ধারন করে। এসময় আনোয়ার উরেফে আনোয়ার রোহিঙ্গাদের সাথে আলোচনা করতে শুনা যায়। একপর্যায়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তোড়-জোড় শুরু হয়।
এদিকে, স্থানীয়রা বিওপিতে খবর দিলে টলহটিম ঘটনাস্থলে গেলে দালাল চক্রের সদস্যরা দ্রুত ৩জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে ফেলে।
এনিয়ে দিনভর আলোচনা হলেও বিজিবি রহস্যজনক কারনে বিজিবি উপস্থিত হয়েও ১জন পুরুষ, ১জন মহিলা ও ১জন শিশুকে পাওয়ার পরও ভিযিও ছবি ধারন করে তাদেরকে আটক করেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তারা আরও বলেন লালাখাল, বাঘছড়া, আফিফ্নগর, জঙ্গীবিল, লালমিয়ার টিলা, ইউনুছের টিলা, তুমইর, রাবার বাগান, ইয়ংরাজার ও বালিদাঁড়া এলাকার সীমান্ত দিয়ে ভারত হতে নারী পুরুষ ও শিশুরা প্রবেশ করছে দালাল চক্রের মাধ্যমে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিজিবি কিছুই জানেন না।
এবিষয়ে লালাখাল বিওপির কমান্ডার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকের নিকট রোহিঙ্গা আটকের বিষয়টি জানেন না বলে জানান। প্রতিবেদকের নিকট ছবি ভিডিও সংরক্ষিত আছে জানালে তিনি বলেন, আমি ক্যাম্পের বাহিরে আছি, ক্যাম্পে ফিরে ঘটনা সত্যতা জেনে আপনাকে অবগত করছি। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন উত্তর জানানি এবং ফোন ধরেননি।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সেলিমের সাথে কয়েকদফা যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অপরদিকে এই ঘটনায় ভিডিও ধারণ ও ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনা ঘটে এবং মোবাইল ও ২ লক্ষ ছিনতাই করে নেয় মর্মে বাউরভাগ তিন জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন বলে জানান মো. আকবর আলী।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ বররুজ্জামান জানান, আমার নিকট অভিযোগ এসেছে, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এসএ/সিলেট