মাধবপুরে চাচার হাতে ভাতিজী খুন
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের এক্তিয়ারপুরে সুমাইয়া (১০) নামে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে চাচা।সুমাইয়া ওই গ্রামের বেনু মিয়ার...
ছবি সংগৃহীত
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত বাস হেলপার লিটনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
মমবার দিবাগত মধ্যরাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন জালালপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত বাস হেলপারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অভিযুক্ত লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার সকালে তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গত রোববার (১৫ জুন) রাতে নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন ওই কলেজ ছাত্রী।
জানা গেছে- ওই কলেজ ছাত্রী বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় থাকেন। তিনি ঢাকার ফার্মগেট থেকে ‘বিলাশ পরিবহন’ বাসে সিলেট আসেন। পরে সিলেট থেকে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি বাসে দাদার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। শেরপুর এলাকায় গিয়ে বাসটি যাত্রীশূন্য হলে, একা পেয়ে বাসচালক ও হেলপার মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
বাসটি আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে কলেজ ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেন। রাত ১২টার দিকে চালককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে নবীগঞ্জ থানায় তরুণী নিজে বাদী হয়ে বাস চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান। পরে তিনি হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে- সোমবার বিকেলে অভিযুক্ত বাস চালককে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রী ঢাকা ওরিয়েন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী। চলন্ত বাসে শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় জেলাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়।
এসএ/সিলেট