Search all
  • Search all
  • Articles
  • Authors
  • Tags
Search all
  • Search all
  • Articles
  • Authors
  • Tags

অফিসে ডেস্ক সাজান গাছ দিয়ে

post-title

ছবি সংগৃহীত

সারাদিনের প্রায় অর্ধেকের বেশি সময় কেটে যায় অফিসে। তাই অফিস ডেস্কে কিছুটা সবুজের ছোঁয়া থাকলে শরীর, মন দুটোই প্রফুল্ল ও চাঙ্গা থাকে। তবে বেশিরভাগ অফিসেই যেহেতু এখন সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার থাকে, এতে আলো-বাতাস ভেতরের একেবারেই চলাচল করে না বললেই চলে।

অফিস ডেস্কে এমন গাছ রাখতে হবে যা এই পরিবেশে খাপ খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। আসুন জেনে নিই অফিসে নিজের ডেস্ক সাজাতে রাখতে পারেন যেসব গাছ-

১.মানিপ্ল্যান্ট
মানিপ্ল্যান্ট শুধু মাটি নয়, পানিতেও শেকড়সহ কোনো রকম যত্ন ছাড়াই ডালপালা গজিয়ে লতানো পাতায় বড় হতে থাকবে। অফিস ডেস্কের লতানো পাতা কিছুটা জায়গায় ছড়িয়ে দিলে বেশ সুন্দর দেখায়। কাজের টেবিলে রাখলে মনের মধ্যেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। অফিস ডেস্কে অন্য গাছের সঙ্গে এটিও রাখতে পারেন। কারণ মানিপ্ল্যান্ট রোদ, পানি ছাড়া অন্য গাছের ছায়াতেও অনায়াসে বেঁচে থাকতে পারে। অন্ধকার ঘরে বেঁচে থাকতে পারে বলে এর আরেক নাম ডেভিল’স আইভি।

২.জিজি প্ল্যান্ট
জিজি প্ল্যান্টের গাঢ় সবুজ পাতা আপনাকে এনে দেবে আলাদা প্রশান্তি। অফিস ডেস্কে রাখলে সৌন্দর্য তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে এর যত্ন নিয়ে তেমন মাথা ঘামাতে হবে না। কারণ এই গাছ এককথায় বেশ সহিষ্ণু। খুব অল্প আলোতে বাঁচতে পারে এবং এর খুব বেশি পানির প্রয়োজন হয় না। তবে মাটি শুকিয়ে গেলে পানি দিতে হবে। দেখতে দারুণ এই গাছটি ঘরকে বায়ুদূষণ এবং অ্যালার্জির প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে।

৩.পিস লিলি
পিস লিলি আকারে ছোট, কিছুটা লতানো আর দেখতে বাহারি বলে অফিসে রাখা যায়। পিস লিলিতে ফুলও ফোটে। গাঢ় সবুজ পাতা আর মাঝে মাঝে শান্তিময় শুভ্র সুন্দর ফুল দেখতে ভালো লাগে। ফুল বিবর্ণ হয়ে এলে বৃন্তসহ ফুল কেটে ফেলতে হয়। সূর্যের আলো, সার, পানি ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে পিস লিলি। যদি ফুল না ফোটে, তবে কিছুটা উজ্জ্বল আলোতে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সরাসরি সূর্যালোকে নয়। পাতা চকচকে উজ্জ্বল সবুজ। গাছটি কিছুটা বিষাক্ত, তাই ফুল বা পাতা ছাঁটাইয়ের পর ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। অফিস ডেস্কে রাখলে পিস লিলির মৃদু মিষ্টি সুবাসে মন হয়ে যাবে ফুরফুরে।

৪.পেপেরোমিয়া
পেপেরোমিয়ার পাতা বেশ উজ্জ্বল হয়। পাতার বেগুনি, সবুজ, লাল রঙের কিনারা, তরমুজের মতো ডোরাকাটা দাগ আর ঢেউখেলানো আকার দেখতে ভালো লাগে। অফিস ডেস্কের পরিবেশ রাখতে পারেন। গাছটি চকলেট বা বাদামি পাত্রে লাগালে ডেস্কের সৌন্দর্য বাড়ে বহু গুণে।

৫.হার্টলিফ ফিলোডেনড্রন
হার্টলিফ ফিলোডেনড্রন লিকলিকে লতা, লম্বায় ৪ ফুট বা তার বেশিও হয়। অত্যধিক অন্ধকার সহ্য করার ক্ষমতা এর আছে। শুধু টবের মাটিতেই নয়, বোতলের পানিতেও টিকে থাকে দিনের পর দিন। চার থেকে পাঁচ দিন পরপর বোতলের পানি বদলে দিলেই হলো। অতিরিক্ত লম্বা লতা ও মরা পাতা ছেঁটে ফেলতে হয়।

৬.স্পাইডার প্ল্যান্ট
এই গাছটির বিশেষত্ব হলো খুব অল্প আলোতেও এরা সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে। ফলে অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখে। স্টাইরিন, গ্যাসোলিন জাতীয় দূষিত বাতাস থেকে শুষে নিতে বলে অফিস ডেস্কে অন্য গাছের সঙ্গেও রাখতে পারেন। কিছু পানি আর পাথর দিয়ে সিরামিক বা কাচের পাত্রে রেখে দিলে অফিস ডেস্কের সৌন্দর্য বাড়বে বহু গুণ।

৭.স্নেক প্ল্যান্ট
যেকোনো নার্সারিতে স্নেক প্ল্যান্ট পাওয়া যায়। স্নেক গাছের অনেক ধরন আছে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী আপনি যেকোনোটি বাছাই করে নিতে পারেন। এই গাছের যত্ন নেওয়া খুব সহজ। মাটি একেবারে শুঁকিয়ে গেলেই পানি দেবেন। বেশি আলো কিংবা পানির প্রয়োজন হয় না এবং সহজে এই গাছ মরেও না। তাই অফিসে রাখার জন্য সবচেয়ে আদর্শ এই গাছ।

৮.গোলাপি সিঙ্গোনিয়াম
 অফিস ডেস্কের পরিবেশ রিফ্রেশিং রাখতে কিনতে পারেন সুন্দর গোলাপি সিঙ্গোনিয়াম। এই উদ্ভিদটি চকলেট বা বাদামী পাত্রে লাগালে ডেস্কের সৌন্দর্য বাড়ে বহু গুণে।

৯.অ্যাগলস্‌ বা চাইনিজ এভারগ্রিন
এই প্ল্যান্টটি এর পাতার রঙের জন্য বিখ্যাত। বেশিরভাগ প্ল্যান্টের পাতাই কচি থেকে পরিপক্কের দিয়ে আগাতে গাঢ় সবুজ রঙ ধারণ করলেও এর পাতাগুলো রূপালি বা লাল রঙের হয়ে থাকে। এই প্ল্যান্টটির আরেকটি নাম হলো অ্যাগলোনেমা যা দুটি গ্রিক শব্দ অ্যাগলস্‌ (উজ্জ্বল) এবং নামা (সুতা) থেকে এসেছে। এই সুতা বলতে এই গাছের ফুলের মাঝ থেকে আকর্ষণীয় যে পুংকেশর বের হয় তাকে বোঝানো হয়। এটি চীনাদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় গাছ যা তাদের কাছে দীর্ঘ জীবনের প্রতীক। তাই এর আরেক নাম চাইনিজ এভারগ্রিন। এই গাছটি কম বা বেশি আলোয় অনায়াসে বেঁচে থাকতে পারে। তাই অফিস ডেস্কে সাজাতে পারেন নিশ্চিন্তে।

১০.লাকি ব্যাম্বু
অফিসের কাজে গুড লাক দরকার হয় না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। আর ডেস্কে যদি থাকে এমনই একটি গাছ তাহলে তো কোনও কথাই নেই। কিছু পানি আর পাথর দিয়ে সিরামিক বা কাঁচের পাত্রে রেখে দিলে অফিস ডেস্কের সৌন্দর্য বাড়বে বহুগুণ। তবে অফিস ডেস্ক জানালার ধারে হলেই এই গাছটি কেনা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কেননা এর কিছুটা হলেও আলো, বাতাস দরকার হয়। চীনাদের ফাংশুই মতবাদ অনুসারে লাকি ব্যাম্বু থেকে নির্গত হয় পজেটিভ এনার্জি। এই প্ল্যান্টটিকে চীনা ভাষায় বলা হয় ফু গোয়ে ঝু। চীনা ভাষায় ফু বলতে বোঝায় সৌভাগ্য, গোয়ে অর্থ সম্মান ও শক্তি আর ঝু অর্থ ব্যাম্বু। এই প্ল্যান্টটির পানি মাঝে মাঝে বদলে দিলে ভালো।


এসএ/সিলেট