Search all
  • Search all
  • Articles
  • Authors
  • Tags
Search all
  • Search all
  • Articles
  • Authors
  • Tags

ফোন ডায়েট কেন করবেন?

post-title

ছবি সংগৃহীত

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মার্টফোনের মতো ডিজিটাল ডিভাইস দ্বারা প্রবলভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে সারা পৃথিবীর মানুষ। স্মার্টফোন ছাড়া যেন একটা দিন কল্পনা কর প্রায় অসম্ভব। অথচ এর কুফল যে কী মারাত্মক সেটি নিয়ে ভাবেনই বা কজন?

তবে মুঠোফোনের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে করা যায় ফোন ডায়েট বা ডিজিটাল ডায়েট।

বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা ই-মেইল, হোয়্যাসটঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহারের সময়সীমা দিনে এক ঘণ্টার মধ্যে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন। আর সপ্তাহে এক দিন স্মার্টফোনকে ছুটিতে পাঠাতেও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। ওই দিন কেবল কথা বলা ছাড়া আর কোনো কাজে ফোন ব্যবহার করতে মানা। আর এভাবেই স্মার্টফোন ডায়েট করা সম্ভব।

 ফোন ডায়েটের সুফল-
 
১.যখন আপনি কেবল এক ঘণ্টা ফোন ব্যবহার করবেন, স্বাভাবিকভাবে তখন কেবল অতি প্রয়োজনীয় কাজই সারবেন।

২.ফোন ডায়েটের ফলে আপনার মনোযোগের স্থায়িত্ব বাড়বে। যেকোনো কাজ সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে করতে পারবেন।

৩. ‘ডিসট্রাকশন’ বা মনোযোগ ছুটে যাওয়ার সমস্যা কমবে।

৪.শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা হবে সহজ। ডিজিটাল ডিভাইস বা পর্দা থেকে বিকিরিত নীল আলো কমে যাওয়ার ফলে ঘুমের মান ভালো হবে। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে উঠতে সুবিধা হবে। রুটিনমাফিক স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা হবে সহজ।

গবেষণা বলছে, অনিয়ন্ত্রিত ফোন স্ক্রলিংয়ের সঙ্গে স্থূলতার সম্পর্ক আছে। কেউ যখন ফোন স্ক্রল করতে করতে খান, তখন তিনি খুব কমই সে খাবার উপভোগ করতে পারেন। তাই বার্গার, পিৎজা বা ফাস্টফুডের মতো খাবারে আগ্রহী হন।

ফোন ডায়েটে থাকলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে আগ্রহী হওয়া সম্ভব। পরিবার ও কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটানো যায়। মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি চোখ, মস্তিষ্ক ও হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ফোন ডায়েট কার্যকর।

জার্মানির দুটি বিশ্ববিদ্যালয়—হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব কোলন গবেষণা জানাচ্ছে, মাত্র ৭২ ঘণ্টা বা ৩ দিন স্মার্টফোন ছাড়া থাকলেই আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।

এসএ/সিলেট