ওসমানী বিমানবন্দরে বিদেশী সিগারেট ও...
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই ফেরত দুই যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ বিদেশী সিগারেট ও ৬টি আইফোন ১৭ প্রো জব্দ করেছে কাষ্টমস। শুক্রবার (৫...
ছবি সংগৃহীত
যারা এতদিন নির্বাচন-নির্বাচন করে জনগণকে বেহুঁশ করে ফেলেছিল তারাই এখন নির্বাচন ভণ্ডুল করার পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান।
শনিবার(৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ইসলামী ও সমমনা ৮ দলীয় জোটের বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট পালালেও ফ্যাসিবাদের কালো ছায়া দেশ থেকে হারিয়ে যায়নি৷ একদল ১৭ বছর এদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম রেখেছিল, এখন নতুন করে আরেকদল সেই ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘যারা এতদিন নির্বাচন-নির্বাচন করে জনগণকে বেহুঁশ করে ফেলেছিল তারাই এখন নির্বাচন ভণ্ডুল করার পায়তারা করছে। যারা নানা বাঁকা পথে ক্ষমতায় যাবার প্রচেষ্টায় আছে তাদেরকে বলবো, বন্ধু জনগণ তোমাদের লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘যে আকাঙ্ক্ষায় অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছে সেই আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে পূর্ণ একমত আট দল৷ সব দেশপ্রেমিক ও ইসলামী দলগুলোর প্রতি আহ্বান, কোনো অপরাধী দলের সঙ্গী না হয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুন। আমরা আপনাদের বুকে জড়িয়ে নেবো৷’
তিনি বলেন, ‘যারা নতুন জুলুমকারী হয়ে উঠেছেন তাদেরকে অচিরেই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে৷’
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহানগর জামায়াতের নায়বে আমির নুরুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, নেজামে ইসলাম পার্টির নায়বে আমির আব্দুল মজিত আতহারী, খেলাফত আন্দোলনের নায়বে আমির মুজিবুর রহমান আজাদ, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মোসাদ্দেক বিল্লাহ জালানী, খেলাফত মজলিসের রেজাউল করিম জালালী, নেজামে ইসলামের আব্দুল মাজেদ আতহারীসহ বিভিন্ন দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়রা নেতারা।
সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেন, ‘গত ১৭ বছর সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত সময় পার করেছে দেশের ইসলামপন্থীরা। যে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ উৎখাতে জনগণ প্রাণ দিয়েছে তা আর ফিরে আসবে না৷’
তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা সমুন্নত রাখতে গণভোটে হ্যাঁ জয়যুক্ত করার বিকল্প নেই৷ যারা না ভোটের পক্ষে প্রচারণা চালাবে তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।’
মামুনুল হক বলেন, ‘আমাদের বিভাগীয় কর্মসূচি দেখে একটি দলের মাথা খারাপ হয়ে গেছে৷ তারা এখন নির্বাচন পেছানোর পায়তারা করছে৷’
আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘সাত বিভাগীয় সমাবেশের পর এটা প্রমাণিত হয়েছে যে জনগণ আমাদের পাঁচ দফার সঙ্গে একমত৷’
তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র সংস্কার, ফ্যাসিস্টদের বিচার আর সুষ্ঠু নির্বাচন ছিল গণআকাঙ্ক্ষা। কিন্তু সেই আকাঙ্ক্ষার কবর রচিত হয়েছে বলেই আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে।’
রেজাউল করীম বলেন, ‘যারা চাঁদাবাজি, দুর্নীতি আর অপরাধে নিমজ্জিত তাদেরকে আগামী নির্বাচনে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে৷’
এসএ/সিলেট