আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষকে জিম্মি...
বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও...
ছবি সংগৃহিত
নারী চা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে চা শ্রমিক, স্থানীয় সাংবাদিক, এনজিও ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে এডভোকেসি সভা করেছে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো)।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ১০টায় সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গালস্থ হোটেল নির্ভানা ইন এর সম্মেলন কক্ষে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একডো বর্তমানে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশের যৌথ সহযোগিতায় ‘লিডারশিপ ডেভলপমেন্ট অফ টি লেবার ওমেন ওয়ার্কার অন দেয়ার রাইটস’ শিরোনামে নারী চা-শ্রমিকদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশ এবং তাদেরকে অধিকার সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী ও সাংবাদিক শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী নবেল।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশি ও বিদেশী চক্রের মাধ্যমে চা শিল্পকে ধ্বংস করা হচ্ছে। যার খেশারত দিচ্ছেন চা শ্রমিকরা। আমাদের দেশের চাপাতা কারখানায় অবিক্রীত থেকে যায় কিন্তু বিদেশ থেকে চা আমদানি করা হয়। চা শিল্পকে ধ্বংস করতে একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এসব করছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে ও চা শিল্পের পলিসি বদলাতে সরকারের নীতি নির্ধারকদের এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে শোষণ আর বঞ্চিত হবার বেড়াজাল থেকে চা শ্রমিকরা বের হয়ে আসতে পারবেন না। ২০২৫ সালে এসে যদি চা শ্রমিকদের উপর আমরা ২০০ বছর আগের মত শোষণ দেখতে হয় তাহলে এটা আমাদের জন্য লজ্জার।
চা শ্রমিকরা বলেন, আমাদের মজুরি থেকে চিকিৎসা খরচও কাটা হয়। কিন্তু আমাদের নূন্যতম চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় না। ১৭৮ টাকা মজুরি সেটাও নিয়মিত দেওয়া হয় না। আমরা আমাদের সন্তানাদি নিয়ে কিভাবে জীবন ধারণ করছি সেটা শুধু আমরাই জানি। আমরা পাতা তোলা ছাড়া অন্য কাজ করতে পারি না। তাই অন্য পেশায়ও যেতে পারি না। এত বছর ধরে আমাদের পূর্বসরীরা এই চা বাগানে শ্রম ঘাম দিয়েছে। আমরাও তাদের পথ অনুসরণ করেছি কিন্তু এখনো আমাদের ভূমির অধিকার দেওয়া হয়নি।
একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ বলেন, একডো প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা সিলেটের নারী চা শ্রমিকদের নেতৃত্ব বিকাশ এবং তাদেরকে অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে কাজ করছি। তবে আমরা চা শ্রমিকদের আর্থিক, সামাজিক বা পেশাগত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রকল্পের বাইরেও অনেক কাজ করছি।
তবে এই নিপীড়িত মানুষদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ সুবিধা ও তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। তাই এসব বিষয় নিয়েও আমরা নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনা করছি। পাশাপাশি চা শ্রমিকদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে কাজ করছি। কারণ যাদের সমস্যা তারা যদি আওয়াজ তোলা বেশি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা তাদের সংবাদের মাধ্যমে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা আমাদের পরামর্শ দিয়ে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। এই লক্ষ্যেই এডভোকেসি সভার আয়োজন করেছি আমরা।
এসএ/সিলেট