সুনামগঞ্জে বিজিবির পৃথক অভিযানে...
সুনামগঞ্জে পৃথক দুই অভিযনে ভারতীয় বিড়ি ও মাদকের দুটি চালান জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি।শুক্রবার এ দুই অভিযান চালানো হয়। ভোরের দিকে বিজিবির...
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ইকবাল
সুনামগঞ্জ শহরতলির মাইজবাড়ি গ্রামে চুরি করতে গিয়ে গৃহস্থের দায়ের কোপে সাইমুম হাসান রনি (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ওই যুবকের লাশ শনিবার সকালে সাহাব উদ্দিনের বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার করেছে। সাইমুম হাসান রনি সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের গুদারগাঁও গ্রামের মৃত সমুজ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় ইকবাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার শেষ রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৩ জুন) গভীর রাতে চুরির উদ্দেশ্যে পূর্ব মাইজবাড়ি গ্রামের ইকবাল হোসেনের বসতঘরের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ঢেউটিনের বেড়া কেটে প্রবেশের চেষ্টা করে নিহত যুবক সাইমুম হাসান রনি। টিনের বেড়া কাঁটার শব্দ শুনতে পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে গেলে ঘরের মালিক ইকবাল হোসেন দেখতে পান কেউ সিঁদ কেটে তার ঘরে ঢুকতে চাচ্ছে।
ঘরে ঢুকার জন্য প্রথমে ওই তরুণ বাম হাত ডুকালে ওই হাতে ধারালো দা দিয়ে কোপ দেন ইকবাল হোসেন। এই অবস্থায় পালিয়ে যান রনি। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গ্রামের সাহাব উদ্দিনের উঠোনে যাবার পর তার মৃত্যু হয়। সেখানেই রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকে। সকালে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার দাবি করেছে, সাইমুন কোনো চুরি করতে যায়নি। তার বোন হুসনা বেগম বলেন, আমার ভাই চোর ছিল না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আবুল কালাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশের সময় ঘরের মালিক ঠের পেয়ে ধারালো দা দিয়ে হাতে কোপ দেন। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন আছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইকবাল হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসএ/সিলেট