আ.লীগকে নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই:...
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কোনো দাবির প্রেক্ষিতে ভোট বিলম্বিত না করে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন...
মাদারীপুরে বালু ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষ
মাদারীপুরে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাইফুল সরদার (৪০) ও আতাউর সরদার (৩৫) নামে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত অন্য ভাই অলিল সরদার ও পলাশসহ (১৮) তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের সরদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে নিহত দুই ভাইয়ের বসতঘরেও ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
নিহত ওই দুই ভাই হলেন, আতাউর রহমান সরদার ওরফে আতাবুর (৩৫) ও সাইফুল ইসলাম ওরফে হিটার সাইফুল (৩০)। দুজনই সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের সরদার বাড়ি এলাকার আজিবর সরদারের ছেলে। নিহত সাইফুল খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন, তিনজন পলাশ সরদার (১৭), তাজেল হাওলাদার (১৮) ও অলিল সরদারকে (৪০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত তিনজনের মধ্যে অলিল সরদার নিহত দুজনের বড় ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সদর উপজেলার খোয়াজপুর টেকেরহাট এলাকার মোল্লা বাড়ি ও সরদার বাড়ির মাঝখানে ড্রেজারের বালু তোলার পাইপ নিয়ে দুই বংশের লোকজনের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জের ধরেই শনিবার সকালে মোল্লা বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরদার বাড়িতে হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের হামলা থেকে বাঁচতে নিহত সাইফুল ও তার আরও দুই ভাই বাড়ির সামনে একটি মসজিদে ঢুকে আশ্রয় নেয়। পরে হামলাকারীরা মসজিদের মধ্যে প্রবেশ করে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তাদের উদ্ধারে এগিয়ে এলে হামলায় আহত হয় আরও দুজন। পরে হামলাকারীরা আতাউর ও সাইফুলের বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আতাউল ও সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
এর আগে আহত তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আহত আরও তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যেকের শরীরে ধারালো অস্ত্রের গভীর জখম রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত তিনজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। অন্য হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকমা (সদর সার্কেল) বলেন, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ। নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশি টহল ও অভিযান জোরদার করা হয়েছে। অপরাধীরা শিগগিরই ধরা পড়বে।
সিলেট বাণী ডেস্ক