সুনামগঞ্জে ব্যবসায়ী সেজে কোটি কোটি...
সুনামগঞ্জে ভূয়া ব্যবসায়ী সেজে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চাঞ্চল্যকর ঘটনার সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৬ জনকে আটক করেছে র্যাব।র্যাবের...
দোয়ারাবাজারে স্কুলছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা.
ছবি সংগৃহীত
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এক নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের নতুন নগর গ্রামে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা প্রধান অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানকে (পিতা: আব্বাস আলী) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আহত শিক্ষার্থী সুরমা আক্তার (১৫) ওই দিন দুপুরে মান্নারগাঁও ইউনিয়নের করিমপুর গ্রাম থেকে তার তিন বান্ধবী—তুলনা আক্তার, লাইজা আক্তার ও লছমিনা আক্তারের সঙ্গে দেখা করতে নতুন নগর গ্রামে যায়। সন্ধ্যায় বান্ধবীরা সুরমাকে নিজেদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসে।
রাত ১২টার দিকে তারা চারজন বসে হাতে মেহেদি পরছিল। এ সময় বাড়ির পেছনের দরজা খুলে বাইরে যায় পরিবারের দুই নারী সদস্য—আব্দুল মালিকের পুত্রবধূ ও লছমিনার ভাইয়ের স্ত্রী। সেই সুযোগে হাবিবুর রহমান ঘরে ঢুকে সুরমা আক্তারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সুরমাকে হত্যার চেষ্টা করে। মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সুরমার হাতের হাড় ভেঙে গেছে, এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ন্যায়বিচারের দাবিতে উত্তাল জনতা ঘটনার পর রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১২টায় মান্নারগাঁও ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পরে দুপুর ২টায় হাজী কনু মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় মানববন্ধনে অংশ নেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,এটি পূর্বপরিকল্পিত নৃশংস হামলা। সুরমা আজ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আমরা চাই হাবিবুর রহমান ও তার সহযোগীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি—ফাঁসি দেওয়া হোক।
তারা আরও জানান, ঘটনাটির পর থেকে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে, মেয়েরা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে।
ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা তিন বান্ধবী জানান,আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি। হঠাৎ হাবিবুর ঘরে ঢুকে সুরমার ওপর হামলা চালায়। আমরা চিৎকার করলে সে আমাদেরও মারার চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা হাবিবুরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হক বলেন,ঘটনার রাতে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে। মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ভিকটিমের চাচা আঃ মতিন, মামা জাহাঙ্গীর আলম, চাচাতো ভাই হাফিজুল ইসলাম, শিক্ষক নিজাম উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, শিক্ষার্থী আমিনা আক্তার, রুজিনা আক্তারসহ শতাধিক মানুষ।
স্থানীয়রা বলেন,আজ সুরমা, কাল হয়তো আমাদের সন্তান। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
টিএ/ছাতক