বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

দোয়ারাবাজারে মসজিদ কমিটির কালেক্টরকে কুপিয়ে হাত কেটে নেওয়ার চেষ্টা, দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

post-title

ছবি সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে একটি ভয়াবহ হামলার ঘটনায় পুরো এলাকা শোক ও আতঙ্কে কাঁপছে। সম্প্রতি আফাজ উদ্দিন (৩৫), টুকেরগাঁও গ্রামের মসজিদ কমিটির কালেক্টরকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর ২টায় উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের টুকেরগাঁও (হাবিবনগর) গ্রামে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে আফাজ উদ্দিন মসজিদ কমিটির অর্থ কালেকশন শেষে স্থানীয় চায়ের দোকানে বসেছিলেন। হঠাৎ একই গ্রামের আজিজুল হক (৩৫) গামছা পেছিয়ে হাতে দা নিয়ে দোকানে ঢুকে আফাজ উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় তার পিতা ইদ্রীস আলী (৬০), ভাই এমদাদুল হক (৩০) এবং বোন সুমা আক্তার (২৫)ও দা ও ছুরি নিয়ে হামলায় যোগ দেন।


স্থানীয়রা জানায়, সুমা আক্তারের বিরুদ্ধে পূর্বেও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ ছিল। সামাজিক শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি একবার সমাধান করা হলেও সম্প্রতি আবারও আফাজ উদ্দিনকে টার্গেট করে হামলার চেষ্টা করা হয়।

হামলার পর স্থানীয়রা আফাজ উদ্দিনকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার হাতের হাড় কেটে গেছে এবং শীঘ্রই অপারেশন না হলে জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি হবে।


মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেছেন, হামলা পূর্ব পরিকল্পিত এবং এটি এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে একযোগে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।

বক্তারা ছিলেন: মন্তাজ আলী, আবুল কালাম, জয়নাল মিয়া, মিয়াজান আলী, শাহ আলম, ফারুক মিয়া, সাইকুল ইসলাম, কছির মিয়া, মুক্তার হোসেন, শাহেদ আলী ও রতন মিয়া প্রমুখ।

দোয়ারাবাজার থানার এসআই আব্দুল জলিল জানান, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে প্রকৃত ঘটনা জানা গেছে। আহতের ভাই হাবিবুর রহমান আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

ওসি জাহিদুল হক বলেন, “মামলার কপি হাতে এসেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


এসএ/সিলেট