প্রবাসী আয়ে শীর্ষ দশে সিলেট-মৌলভীবাজার
বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ যেসব জেলায় বেশি এসেছে তার তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম ১১ মাসের (জুলাই-মে) প্রবাসী আয়ের শীর্ষে...
আনন্দের ঢেউ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের বুকে
ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে সরছে সিলেটের কানাইঘাটে লোভাছড়ায় জব্দকৃত পাথর। এতে স্থানীয় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। সরকারের নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় পাঁচ বছর পর ফের শুরু হলো লোভাছড়ায় পাথর সরবরাহ।
একাধিক সূত্র জানায়, ২০২০ সালে জব্দ হওয়া এক কোটি ঘন ফুটের মধ্যে ৪৪ লক্ষ ২৩ হাজার ১১৩ ঘনফুট পাথর নিলামে ক্রয় করেছে সিলেট নগরীর পিয়াস এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান।
পিয়াস এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত¡াধিকারী কামরুল হাসান চৌধুরী তুহিন জানান, সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে নিলামে ক্রয় করা পাথর সোমবার থেকে সরবরাহ শুরু হয়েছে। সবাইকে সাথে নিয়ে বৈধ সময়ের মধ্যেই নিলামের পাথর স্থানান্তর করা হবে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের স্বার্থটা গুরুত্ব দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয় এমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না আমাদের প্রতিষ্ঠান।
এদিকে, আজ সোমবার (২৬ মে) সকাল ১১ টায় লোভাছড়া পাথর কোয়ারি পরিদর্শন করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পরিচালক, বিএমডি (যুগ্ম সচিব) মো. ছরোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এসময় তারা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর সাথে মতবিনমিয় করেন। এলাকার সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিনিধি দল স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং পরিবেশের ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সবাইকে আহবান করেন।
লোভছড়ায় পাথর সরবরাহের ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ১নং লক্ষী প্রসাদ পূর্ব ইউনিয়েনের সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ সুলেমান বলেন, লোভাছড়া পাথর কোয়ারী সচল হলে এলাকার শ্রমিক, ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটবে, এটা আমরাও চাই। কিন্তু এখানে কোনো ফ্যাসিবাদের দোসরের কর্তৃত্ব দেখতে চাই না। পর্দার আড়ালে থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও লোভা কোয়ারীতে তাদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য নানা কূটকৌশল করছে। আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত লোভা কোয়ারী দেখতে চাই।
সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য পাথর ব্যবসায়ী এম.শুয়েব আহমদ বলেন, কোয়ারি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল। অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অধিকাংশ ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে সর্বস্ব হারিয়েছে। আজ থেকে পাথর পরিবহন শুরু হওয়ায় জীবন ফিরে পেয়েছে। এ সময় তিনি জব্দকৃত পাথর সরবরাহের পর কোয়ারি সচল রাখতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
এদিকে, সিলেট নগরীর কদমতলী গোটাটিকর এলাকার সামি এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম চলতি মে মাসের ২২ তারিখ লোভা কোয়ারীর জব্দকৃত ৪৪ লক্ষ ২৩ হাজার ১১৩ ঘনফুট পাথরের উপর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উচ্চ আদালত বিভাগে একটি রিট পিটিশন করেন। এই রিট পিটিশনের পর পাথর সরানো নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে নানা শংকা বরাজ করছে।
এব্যাপারে যুগ্ম সচিব মো. ছরোয়ার হোসেন বলেন, নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে আমি লোভাছড়া পাথর কোয়ারি পরিদর্শন করেছি। কোয়ারি এলাকার পরিবেশের ক্ষতি না হয় তার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। টেন্ডারের শর্ত মেনে নিলামকৃত পাথর সরিয়ে নেওয়া হবে। এরপর লোভাছড়া পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। স্থানীয় মানুষের দাবির বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চভাবে বিবেচনা করছি, কোয়ারি খুলে দিলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারও লাভবান হবে।
কাওছার আহমদ