জকিগঞ্জে বানভাসি মানুষের ফরিয়াদ,...
মাত্র এক সাপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে পড়েছে জকিগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপজেলার...
ছবি: সংগৃহীত
দু'দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি বেড়েছে। তবে এখনও কোনো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। এদিকে, জেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে থেকে যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে বন্যা হওয়ার আশংকা রয়েছে।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, কয়েক দিন ধরে সিলেটের নদ-নদীতে ক্রমাগত পানি বেড়েই চলছে। ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলই পানি বাড়ার মূল কারণ। ভারতে বৃষ্টি কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এ ছাড়া সিলেটে টানা ভারী বর্ষণও পানি বাড়ার অন্যতম কারণ।
পাউবোর তথ্যমতে, আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীতে পানি বেড়েছে, তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
এদিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে উপজেলার নদ-নদীর পানি। গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলং জিরো পয়েন্ট এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। একইভাবে কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরেও পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পানি বৃদ্ধি পেলেও কারও পানিবন্দী অবস্থায় থাকার খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। পাশাপাশি জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কোনো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে স্থানীয় প্রশাসন ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে স্বেচ্ছাসেবী, সরকারি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক সব ধরনের উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত আছে।
সিলেট বাণী ডেস্ক