ধোপাগুলে টাস্কফোর্সের অভিযানে ৩৩টি...
সিলেটে ক্রাশার মেশিনের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান চলছেই। সোমবারের পর মঙ্গলবারও সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগোল এলাকায় টাস্কফোর্স অভিযান চালায় এবং...
ছবি: সংগৃহীত
সিলেটে টানা বৃষ্টিতে জনজীজবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাঝে কিছুটা সময় থামলেও পুনরায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। এতে নগরীরর নিচু এলাকা সহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মাত্র তিন ঘণ্টায় ১০১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, এবং পরবর্তী তিন ঘণ্টায় আরও ৬৮ মিলিমিটার।
সরেজমিনে দেখা যায়,মাত্র কয়েক ঘন্টার ভারী বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শাহজালার উপশহর এলাকার তেরোরতন, যতরপুর,মেজরটিলা, মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, বাগবাড়ি, নতুন বাজার, লাউয়াই, ভার্তখলা ও বালুচরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সড়কে পানি জমে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। কোথাও কোথাও ঘরবাড়ির ভেতরেও পানি উঠে গেছে।
মেজরটিলা এলাকার মিছবাহুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে গেছে। ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
শাহজালাল উপশহরের তেরোরতন এলাকার বাসিন্দা সেবুল হোসেন জানান, ‘ভোররাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। সকালের দিকে ভারি বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ঘরের ভেতর পানি ঢুকে পড়ে। প্রতি বছরই বৃষ্টির সময় একই সমস্যা হয়।’
যতরপুর এলাকার বাসিন্দা শাকিল হোসেন বলেন, ‘ নগরীর অধিকাংশ ড্রেন সরু হয়ে গেছে, আবার নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ায় ময়লা জমে থাকে। ফলে পানি দ্রুত নামতে পারে না, আমরা খুব কষ্টে আছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-নালা সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ইতোমধ্যে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। তবে বাস্তব চিত্র বলছে, তেমন কোনো সুফল মেলেনি। অল্প বৃষ্টিতেই বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে যাচ্ছে, বাসাবাড়িতে পানি উঠছে, ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
এদিকে, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে সিলেটের নদ-নদী, খাল-বিল ও হাওর ভরে গেছে। এতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট বাণী ডেস্ক