ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের আগে ইসির নির্বাচনী কাজ শুরু উচিত নয়: এনসিপি

post-title

ছবি সংগৃহিত


ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ না আসা পর্যন্ত নির্বাচন বিষয়ে কোনো প্রস্তুতি বা কাজ কমিশনের (ইসি) শুরু করা উচিত নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। রোববার (২০ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির দপ্তরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী।

তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোতে নিয়ে গিয়েছিল। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বিগত সরকারের আমলে ২০২২ সালে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন গঠন করে। সেই হিসেবে সরকারের ঐকমত্য কমিশন যদি সিদ্ধান্ত নেয় ইসি পুনর্গঠন হতে পারে। নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের বিরোধিতা করি আমরা। বর্তমানে যারা আছে, ঐকমত্য কমিশনের উপর নির্ভর করবে তারা থাকবে কি থাকবে না।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে, প্রার্থীকে সরাসরি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নিয়ম করার পাশাপাশি হলফনামায় ভুল তথ্য দিয়ে নির্বাচিত হলে ওই ব্যক্তির সংসদ সদস্যপদ বাতিলেরও দাবি জানায় এনসিপি। এছাড়া আচরণবিধি এবং নির্বাচনি ব্যয়ে পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

ভোটের আগে সীমানা পুননির্ধারণ, দল নিবন্ধন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোট কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত নিয়ে ইসি যে কর্মপরিকল্পনায় আছে, তাতে সাংবিধানিক এই সংস্থাটিকে ‘সতর্ক করা’ হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সাংবাধিানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা অনেকগুলো কথা ইসি থেকে শুনতে পাই। যেগুলো আমাদের প্রধান উপদেষ্টার থেকে শুনিনি। রোডম্যাপের কথা শুনিনি, ইসি থেকে এসেছে। এজন্য আমরা বলব, কোনো জায়গায় কথা বলার জন্য ইসি নিজেদের জায়গায় সতর্ক থাকবেন।

বরং এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা যে সময়সীমা জানিয়ে দিয়েছেন, ইসি সে বিষয়ে কাজ ‘শুরু করতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই নেতা।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ নানা বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনূভা জাবীন।


এসএ/সিলেট