সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করলে তা...
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগর সভাপতি ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বলছেন, ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কারের কথা দেশের জনগণ এখন আর বিশ্বাস করে না, দেশে আইন ও বিচার বিভাগ ঠিকই...
ছবি সংগৃহীত
বৃহত্তর জৈন্তিয়ার (কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলা) প্রতিটি ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের দাবিতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে জৈন্তিয়া কেন্দ্রীয় পরিষদ।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় তার নিজ কার্যালয়ে এই স্মারকলিপি দেন জৈন্তিয়া কেন্দ্রীয় পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
জৈন্তার মাটি হতে উত্তোলিত গ্যাস জৈন্তার মানুষের ব্যবহারে না পাওয়ার দীর্ঘদিনের বঞ্চনার কথা উঠে আসে এই স্মারকলিপিতে।
স্মাকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সিলেট জেলার কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে বৃহত্তর জৈন্তিয়া অঞ্চল গঠিত। দেশে ১৯৫৫ সালে প্রথম আবিস্কৃত গ্যাস ক্ষেত্র এবং ১৯৮৬ সালে প্রথম আবিস্কৃত তেল খনি বর্ণিত অঞ্চলের অন্তর্গত জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর নামক স্থানে অবস্থিত।
এছাড়া ২০২৩ সালে গোয়াইনঘাট উপজেলার খাগড়ায় নতুন গ্যাস ক্ষেত্র হতে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। তাছাড়া হরিপুরের পুরাতন ৮, ৯ ও ১০নং খনিতে পুনরায় বিশাল গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে এবং সেখান থেকেও গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।
উত্তোলিত গ্যাস বৃহত্তর সিলেটসহ দেশের সর্বত্র গৃহে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হলেও উত্তোলন স্থান সেই বৃহত্তর জৈন্তিয়ার মানুষ আজও গ্যাস সংযোগ থেকে বঞ্চিত। অথচ গ্যাস লাইন সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার সংযোগস্থল সালুটিকর পর্যন্ত বিদ্যামান রয়েছে। সেখানে থেকে সহজে ও স্বল্প খরচে নিকটবর্তী কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় গ্যাস সংযোগ সম্ভব। অপরদিকে গোয়াইঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার সংযোগস্থল হরিপুর থেকে একই পদ্ধতিতে বর্ণিত ৩টি উপজেলায় অতি সহজে এবং অল্প খরচে গ্যাস সংযোগ সহজতর।
বিষয়টি বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে ধরা হলেও এর কোনো সুরাহা হয় নি। সেই ক্ষেত্রে বৃহত্তর জৈন্তিয়া চরম বৈষম্যের শিকার। কাজেই বৃহত্তর জৈন্তিয়া বর্তমান সরকারের নিকট তাদের ন্যায্যতার ইতিবৃত্ত দেখতে চায়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, জৈন্তিয়া কেন্দ্রীয় পরিষদ সভাপতি গিয়াস আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বেলাল, সিনিয়র সাংবাদিক ও সদস্য এম এ হান্নান, আনোয়ারুল হক তুতা প্রমুখ।
এসএ/সিলেট