কক্সবাজারে কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা: মৌলভীবাজার থেকে নারীসহ তিনজন আটক

post-title

ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজারে গুলি করে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী হত্যার ঘটনায় মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার তিন জনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের আগে গোলাম রব্বানীর সঙ্গে হোটেল অবস্থান করা নারীও রয়েছেন। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাতে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের দেওয়ান মোল্লাপাড়া গ্রামের আক্কাস আলী সড়কের মো. সেলিম আকনের মেয়ে ঋতু (২৪),  একই গ্রামের পাবলা হাজী পাড়া গ্রামের মো. জামাল শেখের ছেলে শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭), খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ডের মো. হায়দার সরদার অদুদের ছেলে গোলাম রসুল (২৫)।

সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, গত ৮ জানুয়ারি রাত ১১ টার বাসে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর টিপু কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। এর পরদিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার সৈকতের সীগাল পয়েন্ট ঝাউবন সংলগ্ন ফুটপাতে টিপুর মাথায় গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এসপি মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, ঘটনার পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি থানা এলাকা থেকে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে এবং পরে তাদের তথ্যমতে কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত কলাতলী রোড সংলগ্ন সৈকত বহুমুখী সমবায় সমিতি আবাসিক এলাকার কক্স কুইন রিসোর্টের  ২০৮ নম্বর রুমের চিলেকোঠা হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।

জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে ঋতুকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর গুলি করেন হুজি শহীদের ভাতিজা পাপ্পু। এছাড়া এতে অস্ত্র সরবরাহ এবং পালাতে সহযোগিতা করাসহ নানাভাবে সহযোগিতা করেন হুজী শহীদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত গোলাম রসূলসহ আরো কয়েকজন। এ ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৫৪ বছর বয়সী টিপু হত্যার পর থেকে তাকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যার অভিযোগ করে আসছিল পরিবার। টিপুর পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, খুলনার এক চরমপন্থী নেতা হত্যা মামলায় অন্যদের সাথে টিপুকেও আসামি করা হয়। এ মামলার সবাই খুনের শিকার হয়েছেন আগেই। শুধু বাকি ছিলেন টিপু। তিনিও পরিকল্পিত হত্যার অংশ হিসেবে কক্সবাজারে খুন হন বলে ধারণা করছিল পরিবারের সদস্যরা।

এসএ/সিলেট